শিরোনাম

South east bank ad

ককটেল বিস্ফোরণ: বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত আরও ৩ নেতার জামিন হাইকোর্টে

 প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত

ককটেল বিস্ফোরণ: বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত আরও ৩ নেতার জামিন হাইকোর্টে

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

২০১৩ সালে বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ নেতাকর্মীর মধ্যে আরও তিনজনকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন, সুমন চন্দ্র, মো. সোহেল এবং মো. কাউসার।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (১৩ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর একক বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে ৫ জনকে জামিন দিলেন উচ্চ আদালত।

জামিন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

এদিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান ও ব্যারিসটার একেএম এহসানুর রহমান।

এ মামলায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ নেতাকর্মীর মধ্যে মো. লিটন ও আবদুর রহমান নামে দুজনকে এক বছরের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

২০১৩ সালে বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে ভাষানটেক থানা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় দলটির ১০ নেতাকর্মীর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পাঁচ আসামির পক্ষে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক তিনটি আপিল আবেদন দায়ের করা হয়। এ পাঁচ আসামি হলেন- সুমন চন্দ্র, সোহেল, কাউসার, লিটন এবং আবদুর রহমান। এর মধ্যে হাইকোর্ট থেকে আগেই এক বছরের জামিন পান লিটন ও আবদুর রহমান।

গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার ৯নং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম ১০ নেতাকর্মীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ১৪ নেতাকর্মীকে খালাস দেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সুমন চন্দ্র, জসিম, আমিনুল, সোহেল, কাউছার, জুয়েল, আব্দুর রহমান, শহীদ, মহসিন ও লিটন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইসমাইল, আজাদ, বকুল হোসেন, নজরুল ইসলাম, নাডু জামান, আব্দুল কালাম, জিলাফি বাচ্চু, বিকু জামান, জলিল ইসলাম, ফিরোজ, শামীম, কালা বাচ্চু, আলতাফ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম।

২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিএনপিসহ ১৮ দলের ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভাষানটেকে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ককটেলসহ সমবেত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫০-৬০ জন নেতাকর্মীকে দেখতে পায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নেতাকর্মীরা পালানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে আবদুর রহমান নামের এক আসামির কাছ থেকে তাঁতীদলের ব্যানার আর সুমন, জসিম, আমিনুল, সোহেল ও জুয়েলের কাছ থেকে ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলাটি তদন্ত করে ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক এ বি এম আসাদুজ্জামান ২০১৪ সালের ১ মার্চ আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বিচারকার্য চলাকালে আদালত রাষ্ট্রপক্ষে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামিপক্ষে চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

BBS cable ad

আইন আদালত এর আরও খবর: