শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় রোহিঙ্গা সমাধান জরুরি : জাপান
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
এই অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে জাপান। এ সমস্যা সমাধানে দেশটি এ অঞ্চলে একটি ‘অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ বাস্তবায়ন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য এটা সমাধান জরুরি।
একটি ‘অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ বাস্তবায়ন করা গেলে এটি এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য দেশটি কাজ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে জাপান দূতাবাস।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমি রোহিঙ্গাদের রক্ষা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নিবেদিত কাজের প্রশংসা করছি।
২০১৭ সালের (২৫ আগস্ট) রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।
২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। কেননা, রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা।
তবে ২০২০ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য একমাত্র আশা জাগানোর ঘটনা যেটি ঘটেছে তা হলো- মিয়ানমারে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ওপর সম্ভাব্য গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশ