শিরোনাম

South east bank ad

ভারতীয় গরু আসা শুরু হয়েছে!

 প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ক্রয়-বিক্রয়

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিএসএফের গুলির মুখেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের পাটগ্রামে এক গরু পাচারকারী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। পাচার হয়ে আসা গরুগুলোকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দিয়ে বৈধ করে বাজারে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্য দিকে ভারতীয় গরু পরীক্ষা না করে অবাধে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। জানা গেছে, ভারত সরকার কর্তৃক বাংলদেশে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আসা শুরু হয়েছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু কেনাবেচা শুরু করেছে দুই পাড়ের গরু ব্যবসায়ীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব গরু আনতে গিয়ে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হচ্ছেন। তার পরেও নগদ লাভের আশায় গরু আনা হচ্ছে ভারত থেকে। সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে লালমনিরহাট পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শাহ আলম আলী নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই বিএসএফের গুলি উপেক্ষা করে ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমিত আকারে হলেও গরু আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের আগে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় গরুর আমদানি হবে, সেই সঙ্গে হতাহতের ঘটনাও বাড়বে। স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী, আউলিয়ার হাট, বাউরা, রসুলগঞ্জ কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার গোরক মন্ডপ, ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, নীলফামারীর চিলাহাটি, দিনাজপুরের হিলি, জয়পুরহাটের টেপরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কোরবানি উপলক্ষে গরু এনে জড়ো করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে ২০০ গরু আমদানি করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে আমদানির সংখ্যা ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়বে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা। একজন গরু ব্যবসায়ী জানান, প্রতিহাটে পুলিশ, বিজিবিকে গরু প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দিতে হয়। তারা জানান, গত এক সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৫০০-এর বেশি গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কুড়িগ্রামের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জামাল হেসেন বলেন, ঈদ সামনে রেখে গরু চোরাচালান যাতে না বাড়ে এ জন্য সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করেছে। পাচার রোধে সিজারলিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজিবি বুড়িমারী ক্যম্পের কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক বলেন, সীমান্তে পাচার রোধে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
BBS cable ad

ক্রয়-বিক্রয় এর আরও খবর: