শিরোনাম

South east bank ad

পোশাক খাতকে বৈশ্বিক আইন মানতে আরও সচেষ্ট হতে হবে

 প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   গার্মেন্টস/টেক্সটাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টেফোর.কম

এলডিসি উত্তরণের পর দেশের পোশাক খাতকে বৈশ্বিক আইন-কানুন পরিপালনে আরও সচেষ্ট হতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার-সহ সার্বিক মানবাধিকার, অর্থনৈতিক সুশাসন ও পরিবেশবান্ধব কারখানায় দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ। সিপিডি আয়োজিত এক সেমিনারে এমনটাই বলেছেন বক্তারা।

দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্রখাতকে সবুজায়ন বা পরিবেশবান্ধব করার গুরুত্ব নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির আয়োজন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর দেশের পোশাক খাতকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বৈশ্বিক আইন-কানুন। জোর দিতে হবে শ্রমিক অধিকার ও অর্থনৈতিক সুশাসনে।

এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, "গত কয় মাসে প্রাইজ কমেনাই প্রাইজ বেড়েছে, র ম্যাটেরিয়ালের প্রাইজ যে বেড়েছে সেটা কাভার হচ্ছে না।"

বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কারখানা পরিবেশবান্ধব করা হয়েছে; কিন্তু এসব কারখানা ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের বাড়তি মূল্য পাচ্ছে না। বিষয়টিকে হতাশাজনক বলছেন বক্তারা।

বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতিমোহাম্মদ হাতেম বলেন, "সরকারি পলিসি এটার জন্য একটা ভালো উদ্যোগ হতে পারে, তা না হলে প্রাইজ, কারণ বায়াররা তো প্রাইজ দিচ্ছে না।"

তবুও টেকসই শিল্পায়ন নিশ্চিতে কর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা, ন্যায্য আয় ও মানসম্মত জীবযাপন নিশ্চিত জরুরি বলছেন তারা। কমানোর তাগিদ দূষণ, বর্জ্য উৎপাদন ও জলবায়ু পরিবর্তণের ঝুঁকি।

পোশাকের ন্যায্যমূল্য আদায় ও ক্রয়াদেশ গ্রহণে উৎপাদনকদের সরাসরি ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পরামর্শ দিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরি।

তিনি বলেন, "আমার কাস্টমারকে আমি যদি ভাবি ব্যান্ড তাহলে কিন্তু আমার ই কমার্স ডেভেলপ হবে না। আমার কাস্টমার তারা, যারা সুইডেনে বসে ছোট একটি শহর থেকে পণ্য কিনছে।"

২০৫০ সালের মধ্যে কর্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ সময়ের মধ্যে পোশাকসহ সব পণ্যই পরিবেশবান্ধব কারখানা থেকে সংগ্রহ করবে ইইউভুক্ত দেশগুলো। তাই কারখানা সবুজয়ের বিকল্প নেই।

BBS cable ad

গার্মেন্টস/টেক্সটাইল এর আরও খবর: