South east bank ad

শিগগিরই বিজেএমসির বন্ধ থাকা পাটকলগুলো চালু হবে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   গার্মেন্টস/টেক্সটাইল

দেশের পাটশিল্পের উন্নয়নে সরকার শিগগিরই বিজেএমসির বন্ধ থাকা পাটকলগুলো চালু হবে বলে জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এরই মধ্যে কারখানাগুলো ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হওয়া মিলে অগ্রাধিকার হিসেবে কাজ পাবেন মিলের কর্মহীন শ্রমিকরা।
গতকাল রোববার ২৭ জুন ২০২১ইং তারিখ সচিবালয়ে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার, ২০২০-২১’ ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার জন্য আগামী অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, ২০২১-২২ (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এসব মিলে কর্মক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। এতে সব শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে চামড়া শিল্পকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাট খাত উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১০৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩.২৩ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৫৭ শতাংশ বেশি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে সরকার কাজ করছে।’
সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জুটমিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) হাতে থাকা ২২টি পাটকলের মধ্যে সরকার লিজ দিতে চেয়েছিল ১৭টি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৪টি পাটকল লিজ নিতে ৫১টি আবেদন জমা পড়েছে। বাকি ৩টির জন্য কোনো আবেদনপত্র জমা পড়েনি।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র থেকে জানা যায়, ১৭টি পাটকল লিজ দেওয়ার জন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে ২৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক দরখাস্ত আহ্বান করে বিজেএমসি। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ জুন ২০২১ইং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪টি জুটমিলের জন্য ৫১টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। আপাতত এই ১৪টি পাটকল লিজ দেওয়ার পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় মন্ত্রণালয়।
যে ১৪টি পাটকলের জন্য লিজ আবেদন জমা পড়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- নরসিংদীর বাংলাদেশ জুটমিলস, চট্টগ্রামের কেএফডি, যশোরের কার্পেটিং জুটমিলস, নরসিংদীর ইউএমসি জুটমিলস, যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ, রাজশাহী জুটমিলস, খুলনার ইস্টার্ন জুটমিলস, সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুটমিলস, খুলনার ক্রিসেন্ট জুটমিলস, চট্টগ্রামের গুল আহমদ জুটমিলস, চট্টগ্রামের হাফিজ জুটমিলস, চট্টগ্রামের এমএম জুটমিলস, খুলনার দৌলতপুর জুটমিলস এবং চট্টগ্রামের আর আর জুটমিলস।
আর যে ৩টি পাটকল লিজ নিতে কোনো আবেদনপত্র জমা পড়েনি তার সবটিই খুলনার। মিলগুলো হলো- প্লাটিনাম জুবিলী জুটমিলস, খালিশপুর জুটমিলস ও স্টার জুটমিলস। আর যে ৫টি পাটকল সরকার শুরু থেকেই নিজেদের হাতে রাখতে চেয়েছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের বাগদাদ-ঢাকা-কার্পেট ফ্যাক্টরি, ডেমরার করিম জুটমিলস, ডেমরার লতিফ বাওয়ানী জুটমিলস, খুলনার আলীম জুটমিলস ও চট্টগ্রামের আমিন জুটমিলস।

BBS cable ad

গার্মেন্টস/টেক্সটাইল এর আরও খবর: