শিরোনাম

South east bank ad

স্বর্ণের ভ্যাট কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব বাজুসের

 প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   এনবিআর

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

স্বর্ণ একটি মূল্যবান ও স্পর্শকাতর ধাতু হওয়ায় এর মোট বিক্রয়ের ওপর ২ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুল্ক, ভ্যাট ও কর সংক্রান্ত জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে খাতভিত্তিক প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন।

এনবিআরের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা জুয়েলারি সেক্টরের গুনগত পরিবর্তন এনেছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প পরিবারের (বসুন্ধরা গ্রুপ) এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। উনি বিশ্বমানের জুয়েলারি পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্য ১২ হাজার কোটি টাকার একটি গোল্ড রিফাইনারি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। ওয়ার্ল্ডের গুড কোয়ালিটি যেটা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাজারের বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়েও এক্সপোর্ট করতে পারবে। এই এক্সপোর্টের জন্য আমরা সেকেন্ড গার্মেন্টসের মতো আশাবাদী অনেক আগে থেকেই। এজন্য আমাদের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ যে ভ্যাট রয়েছে সেটা কমানোর প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, জুয়েলারি শিল্পে আমরা বর্তমানে ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা ৬৪টি জেলায় ট্যুর শুরু করেছি। ভ্যাট কমানো হলে আমাদের ২৮ থেকে ৩০ হাজার সদস্য হয়ে যাবে। এখন যে রাজস্ব আসছে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

বাজেট প্রস্তাবনায় বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজার, স্বর্ণের উচ্চমূল্য ও নানাবিধ কারণে জুয়েলারি শিল্প ৫শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করায় জুয়েলারি ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জুয়েলারি শিল্পে ৩শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান থাকায় এবং ভারতের ভিসা প্রাপ্তি সহজলভ্য হওয়ায় এদেশের ক্রেতা সাধারণ ভারত থেকে স্বর্ণালংকার ক্রয়ে উৎসাহীত হচ্ছে।

আরও বলা হয়, আমাদের দেশে বর্তমানে আরোপিত ভ্যাট অনুযায়ী একজন ক্রেতা ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়ে হয়। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ক্রয় করলে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়ে হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জুয়েলারি শিল্পের ওপর। তাই জুয়েলারি খাতে ভ্যাট সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে অর্থাৎ ২ শতাংশ হারে নামিয়ে আনা হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে উৎসাহিত হবেন এবং ক্রেতা সাধারণও ভ্যাটদানে আগ্রহী হবেন। ফলে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আপনাদের লিখিত প্রস্তাব পেয়েছি। আশা করছি এইগুলো নিয়ে আমরা বসবো। যে প্রস্তাবগুলো গ্রহণযোগ্য হবে সেটা অবশ্য বিবেচনা করা হবে এবং অফিসিয়াললি প্রসেস করবো।

প্রাক বাজেট আলোচনায় বাজুসের সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, বাজুসের সাবেক সভাপতি দীলিপ রায় অংশ নেন।

BBS cable ad

এনবিআর এর আরও খবর: