শিরোনাম

South east bank ad

অদম্য প্রচেষ্টায় সফল একজন

 প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   তরুন উদ্যোক্তা

অদম্য প্রচেষ্টায় সফল একজন

নাজিম উদ্দিন, চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টেন্ট ও হায়ার এডুকেশন একাডেমির একজন সম্মানিত ফেলো। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি যুক্ত রয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং এসিসিএর পরীক্ষকের পাশাপাশি দাতব্য প্রতিষ্ঠান সিটিজেন অ্যাডভাইস বডিতে একজন ট্রাস্টি ও ট্রেজারার হিসেবে। বসবাস করছেন যুক্তরাজ্যে, একাডেমি ও অ্যাকাউন্টেন্ট পেশার বাইরে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা।

এতকিছুর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইউকে বিসিসিআইয়ের ২০১৬ সালে জিতেছিলেন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার’ খেতাব। সম্প্রতি এই গুণী মানুষটি স্বল্পসময়ের জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশে, তখনই রাজধানীতে কথা হচ্ছিল তার সঙ্গে।

পড়াশোনা শেষে পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তার প্রয়াত বাবার ইচ্ছা নাজিম নতুন কোনো ব্যবসায় যুক্ত হোক। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তখন তার বাবার বেশ নামডাক, তিনি সবসময় নতুন ব্যবসার দিকে নজর দিয়েছেন, সব নতুন ক্ষেত্রে। ছেলেকে তিনি নতুন ব্যবসার জন্য উত্সাহিত করেন, তবে সত্যি বলতে তিনি তখনো প্রস্তুত ছিলেন না। মানসিকতায় তারুণ্যে বিশ্বাসী নাজিম উদ্দিন বললেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও এক্সটারনাল অ্যাডমিনার হিসেবে কাজ করছি। একাডেমিক কাজের বাইরে আমি যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান সিটিজেন অ্যাডভাইস বডিতে একজন ট্রাস্টি ও ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। একাডেমিক ও অ্যাকাউন্টেন্ট পেশার বাইরে আমি একজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। আমি যুক্তরাজ্যের বেশকিছু কোম্পানির উল্লেখযোগ্য শেয়ারের অংশীদার। আমার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শত শত মানুষ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছে। ছাত্রাবস্থায় একাডেমিক সাফল্যের জন্য এমবিএ প্রোগ্রাম স্বর্ণপদক অর্জন করেছি। এ ছাড়া ব্যবসায়িক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালে আমাকে ‘এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ লর্ড, মিনিস্টার ও বহু এমপি উপস্থিত ছিলেন, যা আমার দেশের জন্য গর্বের ছিল।’ একজন একাডেমিক ও অ্যাকাউন্টেন্ট হওয়ার পরও কেন ব্যবসায়ী হওয়ার বাসনা করলেন? ব্যতিক্রমী মানুষটি জানালেন, ‘ব্যবসায়ী হওয়ার মনোবাসনা ছিল তাই পূর্ণ হলো।’ আর নিজেকে যে পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন জানাতে গিয়ে বললেন, ‘একজন উদ্যোক্তা কিংবা একাডেমিশিয়ানের পাশাপাশি আমার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। সম্প্রতি আমি আমার পরিবার, ফেলে আসা দিন ও চট্টগ্রামের সঙ্গে বিশ্বের আদি যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের যে ইতিহাস তাকে উপজীব্য করে একটি বই লিখছি। সে সুবাদে নিজেকে একজন লেখক, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করি।’

যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের জন্য পরামর্শ জানালেন তিনি, ‘প্রতিটি সমস্যাকে কেবল সমস্যা নয়, বরং সুযোগ হিসেবে দেখার মানসিকতা রাখতে হবে। কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সব সময় প্রশ্ন করার মানসিকতা রাখতে হবে। যদি নিজের মনে কোনো ধারণা পোষণ করেন, তবে তার বাস্তবিক প্রয়োগ ছাড়া কখনই তা সঠিক বলে বিবেচনা করবেন না। একজন উদ্যোক্তার প্রধান কাজ সমস্যার সমাধান করা। তা ব্যক্তি, সমাজ কিংবা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হতে পারে। সর্বদাই সমস্যার সমাধানে নিবিষ্ট থাকা একজন উদ্যোক্তার মূল কাজ।’

BBS cable ad

তরুন উদ্যোক্তা এর আরও খবর: