শিরোনাম

South east bank ad

আগ্রহী তরুণদের প্রেরণার বাতিঘর আহ্বাবুর রহমান (মুন্না)

 প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারী ২০১৮, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   তরুন উদ্যোক্তা

আগ্রহী তরুণদের প্রেরণার বাতিঘর আহ্বাবুর রহমান (মুন্না)
মানুষের জীবনের চিত্রপট যে কতভাবে বাঁক নিতে পারে তা বোঝা যায় তার গল্প শুনলে- নাম এস এম আহ্বাবুর রহমান (মুন্না)। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন তরুণ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকদের প্ল্যাটফর্ম ‘এইচআর স্পিকস বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে, নানা গুণের অধিকারী এই মানুষটি সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘এইচআর গুরু’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। একজন মানুষ হিসেবে হয়ে উঠছেন কর্পোরেট চাকরিতে আগ্রহী তরুণদের প্রেরণার বাতিঘর আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই? আহ্বাব মুন্না জন্ম নিয়েছি সিলেটে, বাবা ছিলেন বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের চীফ একাউন্টস অফিসার। মা গৃহিণী। বাবার চাকরিসূত্রে পড়েছি তিনটি স্কুলে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তখনকার প্রথম ধাপ মাধ্যমিক শেষ করেছিলাম পলাশ সার কারখানা উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদীতে। এরপর গল্পটা পরিবর্তন হয়েছে দ্রুত, এইচএসসি পাস করি তেজগাঁও কলেজ থেকে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্পটা আরও ব্যতিক্রম, ইংরেজীতে স্নাতক শেষে ঢাবির আইবিএ করি এইচআরএমসি থেকে। আপনার একটি উক্তি ‘পরিবর্তন হোক সবকিছুতেই’ যেটা কর্পোরেট জগতে বেশ জনপ্রিয়। এসব বিষয়ে যদি বলতেন? আহ্বাব মুন্না- আসলে আমরা যে প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি সেটা একটু ভিন্ন। দেশে নানা ধরনের প্রফেশনালসদের গ্রুপ থাকে, আমাদের গ্রুপটি একটু অন্যরকম। তরুণ চাকুরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পর্যন্ত আমাদের এইচআর স্পিকসের মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারেন। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের একটা সুবিশাল ট্রেন্ড চলছে। এখন যারা এই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তারা যদি পরিবর্তনটাকে সহজভাবে প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে পারেন তবেই সম্ভব মৌলিক পরিবর্তন। আপনার অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের বড় স্বীকৃতি। একজন তরুণ হিসেবে বিষয়টাকে কিভাবে দেখেন- আহ্বাব মুন্না- আসলে অর্জন সবসময়ই আনন্দের। কাজের স্বীকৃতি কাজের আগ্রহ বাড়ায় আর চাপও বাড়ায়। বাংলাদেশে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকদের মধ্যে ক্যারিয়ারের দশবছরে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ভূষিত হয়েছি ‘এইচআর গুরু’ হিসেবে, এছাড়া এদেশীয় জনপ্রিয় কনসালটেন্সি ফার্ম ‘এইচআর স্পিকস বাংলাদেশ’-এর লিড কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, এছাড়া বড় কিছু কাজ নিয়ে এ বছরজুড়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটা মাইলফলক তৈরি করতে কাজ শুরু করব। আপনার সফল কর্মজীবন সম্পর্কে যদি জানাতেন? আহ্বাব মুন্না- আমি এখনি নিজেকে সফল দাবি করতে নারাজ। অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি, বাংলাদেশে এইচআর বিষয়টি সকল ক্ষেত্রে যথাযথ প্রয়োগ করতে আমার অনেক স্বপ্ন বাকি। কর্মজীবনের প্রথমে উইংস সেন্টার, এক্সিকিউটিভ অপারেশন, পলমল গ্রুপের এইচআরে, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ, সুপারস্টার গ্রুপে, মদিনা গ্রুপে হেড অব এইচআর হিসেবে কর্মরত ছিলাম এরপর এ বছরের শুরুতে স্বনামধন্য বেসরকারী বিদ্যুত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডরিন পাওয়ার লিমিটেড’-এর হেড অফ এইচআর হিসেবে যোগ দেই। ব্যস্ততম কর্মজীবনে আমি বরাবরই প্রাধান্য দিয়েছি মানবসম্পদ উন্নয়নকে। আহ্বাব মুন্না এর মতে ‘বাংলাদেশে এইচআর ফিল্ডে একটা পরিবর্তন বা আলোড়ন এসেছে ২০০০ পরবর্তী সময়ে। আগে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এইচ আর ছিল না, বর্তমানে বহুজাতিক এবং এদেশীয় মোটামুটি সকল বড় কোম্পানি এইচআর বিভাগকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে থাকে। কর্মী অন্তঃপ্রাণ হতে হয় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপককে। পাওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে সময় দিচ্ছি কারণ এটা একটা বুমিং সেক্টর, একটা সময় অনেক ওপরে উঠবে আরও। ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে, তাদের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ থাকায় এক কথায় চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে পুরো ব্যাপারটাও। এইচআর স্পিকস নিয়ে আহ্বাব মুন্না এর বক্তব্য , আসলে অন্য ফার্মগুলোর মতো শুধু ট্রেনিং করিয়ে শেষ এই থিমটাতে আমরা বিশ্বাস করি না, ফ্রেশার্সদের ক্ষেত্রে শুধু ট্রেনিং দিয়ে নয়, তাকে জব মার্কেটে প্রবেশ করাতে সর্বোচ্চ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে তার পাশে থাকার চেষ্টা করি আমরা এইচআর স্পিকস বাংলাদেশ পরিবার। ‘শুধু তাই নয়, প্রফেশনালসের ক্ষেত্রে যেভাবে ট্রেনিং দেয়া হয় তা নিজের কর্মক্ষেত্রে কিভাবে কাজে লাগান যাবে, করতে গিয়ে কি কি বাধা আসবে, বাধাগুলো অতিক্রমের পদ্ধতি নিয়েও এইচআর স্পিকস পাশে থাকবে। আমাদের নতুন বছরের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, দেশের বিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কথা বলা, আইডিয়া জানা এবং শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা পুরো কমিউনিটিতে।’ এছাড়া এইচআর স্পিকসের ট্রেনিং, হেড হান্টিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেবা তো রয়েছেই। আহ্বাব মুন্না- পেশাগত সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিয়মিত কলাম লেখেন মানবসম্পদ উন্নয়নে এবং তরুণদের পেশাগত পরামর্শ দিয়ে দেশের বিভিন্ন পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে। এছাড়া বিএসএইচআরএমের এ্যাসোসিয়েট মেম্বার, এনএসইউ ইএমবিএ ফোরামের এক্সিকিউটিভ মেম্বার, আইবিএ এমডিপি এলামনাই এ্যাসোসিয়েশনের মেম্বার হিসেবে যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে।
BBS cable ad

তরুন উদ্যোক্তা এর আরও খবর: