শিরোনাম

South east bank ad

তরুণরা মজেছে টি-শার্টে, তরুণীরা গাউনে

 প্রকাশ: ০৫ জুন ২০১৮, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   তরুন উদ্যোক্তা

তরুণরা মজেছে টি-শার্টে, তরুণীরা গাউনে
এবারের ঈদ ফ্যাশনে তারুণ্য মজেছে টি-শার্ট এবং টু-পার্ট গাউনে। গ্রীষ্মের গরমের কারণে ছেলেদের পোশাক বা ফ্যাশনে এবার বড় কোন পরিবর্তন আসছে না। ছেলেদের জন্য এবার এসেছে নতুন নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট। দেশি-বিদেশি জিন্স প্যান্ট। আর মেয়েদের জন্য রয়েছে টু-পার্ট গাউন। এসব গাউনের ঘের রয়েছে বিভিন্ন রকমের। সর্বোচ্চ ৫৬০ ইঞ্চি পর্যন্ত ঘের রয়েছে। তরুণীরা তাদের বডি স্ট্রাকচারের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গাউন কিনছেন। রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে হাল ফ্যাশনের এসব তথ্য জানা গেছে। মৌচাকের ফরচুন শপিং সেন্টারে দেখা যায়, এখানে নিচ তলায় ভ্যারাইটিস দোকান থাকলেও দ্বিতীয় তলায় জুয়েলারী, তৃতীয় তলায় মেয়েদের পোশাক, চতুর্থ তলায় ছেলেদের, পঞ্চম তলায় জুতার দোকানের সমাহার। এর উপর রয়েছে ফুডকোর্ট। তৃতীয় তলার জান্নাত ফ্যাশনের কর্ণধার আবদুল জলিল বলেন, প্রতিবার ভারতীয় সিরিয়ালের নাম ধরে বিভিন্ন পোশাক বাজারে আসে। কিন্তু এবার সেরকম কিছু আসেনি। তবে তরুণীরা এবার বেশি কিনছে গাউন, লাসা, লং কুটি ও সিঙ্গেল বা ওয়ান পিস জামা। এগুলোর মধ্যে এগিয়ে গাউন। ছোট-বড় বিভিন্ন ঘেরের গাউন রয়েছে। সর্বোচ্চ ৫৬০ ইঞ্চি পর্যন্ত ঘের সম্পন্ন গাউন রয়েছে। এসব গাউন বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়। চতুর্থ তলার চলন্ত সিঁড়ির সঙ্গেই ছেলেদের পোশাকের দোকান সার্চ পয়েন্ট। দোকানটিকে শার্ট, ফ্যান্ট ও টি-শার্ট থরে থরে সাজানো। দোকানে কাস্টমারও বেশ, চোখে পড়ার মতো। দোকানের কর্ণধার রফিক  বলেন, এবার শার্ট খুব একটা চলছে না। ছেলে বা তরুণরা মজেছে টি-শার্টে। শার্টের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। গোল গলা, ‘ভি’ গলা টি-শার্টগুলোর দাম ৬৫০-১৮০০ টাকা। এছাড়া শার্টের দাম ২-৩ হাজার টাকা, প্যান্টের দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা। এছাড়া পাঞ্জাবির দাম ১৩০০-২০০০ টাকা। একই তলায় ছেলেদের দোকান ’সোডিয়াম’র বিক্রয় কর্মী জুলফিকার বলেন, এবার টি-শার্ট ছাড়া অন্য কিছু তেমন চলছে না। এখানে পোলো ব্রান্ডের টি-শার্ট পাওয়া যায়, যা সবই এক্সপোর্ট কোয়ালিটির। দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৮০০-১০০০ টাকা। এর বাইরে শার্টের দাম পড়বে ১৩০০-২০০০, এক্সপোর্ট কোয়ালিটির প্যান্টের দাম পড়বে ১৫০০-৩০০০ টাকা। একই ধরনের তথ্য জানা গেল ফরচুন শপিং সেন্টারের উল্টা পাশে মৌচাক মার্কেটে গিয়ে। এই মার্কেটটি এই অঞ্চলের নিউমার্কেট গাউসিয়া নামে খ্যাত। কারণ এখানে ছেলে-মেয়ে প্রায় সব ধরনের পোশাক ও প্রসাধনী পাওয়া যায়, দামও সাশ্রয়ী। ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মার্কেটে লোকজন চলে আসে কেনাকাটার জন্য। ঈদে এজন্য ভিড়ও একটু বেশি। মার্কেটে প্রবেশ দাড়ের সিঁড়ির দুই পাশেই মেয়েদের পোশাক ও প্রসাধনী। উপরে রয়েছে মেয়েদের পোশাকের প্রাধান্য। ছোট বাচ্চা ও ছেলেদের পোশাকের জুড়ি নেই। কথা হয় ডালাক্স কর্ণারের স্বত্বাধিকারী ফারুক আহাম্মেদের সঙ্গে। তিনি  বলেন, এই মার্কেটে প্রাইজ রিজেনেবল। নারী ও বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক সুলভমূল্যে পাওয়া যায়। ফলে সবাই এখানে চলে আসে। তবে সকালের দিকে বেচা-বিক্রি ভালো হয়। সন্ধ্যার আগে বেচাকেনা হয় না বললেই চলে। তবে আগের চেয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে বেশি চলছে গাউন, এর দাম ১০০০-১৭০০ টাকা। মৌচাক মার্কেটে কথা হয় নয়াটোলা থেকে আসা তামান্নার সঙ্গে। স্কুলপড়ুয়া এই ছাত্রী বলেন, মার্কেটে দেখতে এসেছি কোন ফ্যাশনের পোশাক এবার বেশি উঠেছে। এখনো কেনাকাটা করেনি। তবে দেখে যাচ্ছি পরে কিনব। তিনি জানান, এবার একচেটিয়া নামকরা কোন পোশাক বাজারে আসেনি। এজন্য আমি কনফিউস্ড। আসলে কি কিনব। কিছু না পেলে টু-পার্ট জামা (গাউন) কিনে এবার ঈদ করব। একই কথা জানান আকলিমা বেগম। তিনি বলেন, মেয়ের জন্য জামা কিনব। এখনও পছন্দ হয়নি বলে কেনা হয়নি। তবে দোকানগুলোতে এবার গাউনের আধিপত্য।
BBS cable ad

তরুন উদ্যোক্তা এর আরও খবর: