শিরোনাম

South east bank ad

অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পর্যটনে ‘সী পার্ল ক্রুজ’র যাত্রা

 প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

প্রাকৃতিক নৈস্বর্গের লীলাভূমি খ্যাত বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। রয়েছে অনেক পর্যটক। এখন প্রতিবছর প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করে থাকেন। এই ভ্রমণ পিয়াসুদের আরও সুখবর হলো; যারা ডাকাতের ভয়ে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল হিসেবে খ্যাত প্রকৃতির লীলাভূমি ‘সুন্দরবন’এ ভ্রমণে যেতে পারেননি, তারা এখন নির্ভয়ে যেতে পারেন। কারণ, সুন্দরবন এখন দস্যু মুক্ত নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।

কয়েক বছরে আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর তৎপরতায় বর্তমানে প্রায় দস্যু মুক্ত হয়েছে পুরো সুন্দরবন এলাকা। সেই সাথে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের নিশ্চয়তা দিতে যোগ হয়েছে; আধুনিক সব পর্যটনবাহী জাহাজ। পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ‘সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেড’ দুটি অত্যাধুনিক ‘এমভি সী পার্ল ক্রুজ-০৩ ও এমভি সী পার্ল ক্রুজ ০৪’ নামের জাহাজ উদ্বোধন করেছে।

বিলাসবহুল এসব জাহাজে রয়েছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। সার্বক্ষণিক ওয়াইফাই, উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুদক্ষ গাইডের মাধ্যমে সব পর্যটকই এসব ক্রুজ শিপের মাধ্যমে সুন্দরবনের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করাসহ নানা সুবিধা। স্বল্প খরচে তিনদিনের এসব অত্যাধুনিক জাহাজে ভ্রমণে খরচ হবে জনপ্রতি মাত্র সাড়ে দশ হাজার টাকা।

জাহাজগুলোতে অভিজাত আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সব ধরণের সুযোগসুবিধা যোগ করা হয়েছে বলে জানা যায়, সুবিধা অনুযায়ী এসি, নন এসি, সিঙ্গেল, ডাবল কক্ষ নিতে পারেন ভ্রমণ পিয়াসুরা। তিনদিন, চারদিন, ছয়দিন পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজে সুন্দরবনের মধ্যেই অসাধারণ সময় কাটাতে পারবে পর্যটকেরা।

কম খরচে ঘুরতে আসতে পারেন দস্যু মুক্ত এই সুন্দরবনে উল্লেখ করে রয়েল টিউলিপ সী পার্লের কোম্পানি সচিব আজহারুল মামুন জানান, একসময় বন দস্যু ও জলদস্যুদের ভয়ে এ অঞ্চলে পর্যটকরা আসতে চাইতেন না। এখন আর আগের অবস্থায় নেই সুন্দরবন অঞ্চল। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে এখন শান্তিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে সুন্দরবন। আর তাই সুন্দরবনে বাড়ছে পর্যটনের আকর্ষণ।

সম্প্রতি সুন্দরবন ঘুরে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন নতুন কিছু স্পট আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। এরমধ্যে হারবাড়িয়া, ডিমচর, কটকা, কচিখালী, কলাগাছিয়া, শেখেরটেক, আলীবান্দা, কালাবগি ও কৈলাশগঞ্জ। এরমধ্যে কয়েকটি স্পট দূরবর্তী থাকায় একসময় পর্যটনের জন্য অনিরাপদ ছিল। এখন পুরোপুরি দস্যুমুক্ত হওয়ায় প্রচুর পর্যটক যাচ্ছে এসব স্পটে।

সুন্দরবন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে সুন্দরবনে প্রায় দেড় লাখ হরিণ রয়েছে। প্রতিটি স্পটে গেলেই অবাধে চড়ে বেড়াতে দেখা যায় এসব হরিণ। করমজলে গেলে হরিণকে নিজ হাতে খাবার খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে পর্যটকদের। এই স্পটেই রয়েছে সুন্দরবনের নোনা জলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র। এখানে এখন শতাধিক বাচ্চা কুমির রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র। তবে কটকা স্পট বলে পরিচিত এলাকায় সবচেয়ে বেশি হরিণ চোখে পড়ে। পালে পালে হরিণ চড়ে বেড়াতে দেখা যায় এখানে। কটকাতে রয়েছে বাঘের আনাগোনা। কটকার পাড়ে কয়েকদিন থাকলে নিজ চোখেই দেখা মেলে বাঘের। তীরে নামলে সব সময় বাঘের পায়ের চিহ্নের দেখা মেলে।

এছাড়া ঘুরে দেখতে পারে সুন্দরবনের প্রায় শেষ প্রান্তে হারবাড়িয়া এলাকা। এর চারদিকে বৃহৎ নদী বেষ্টিত হওয়ায় সন্ধ্যার সূর্যাস্ত ও সকালের সূর্যোদয় দেখা যায় স্পষ্ট। এছাড়াও ডিমচরেও রয়েছে হাজার হাজার হরিণ। রয়েছে নানা প্রজাতির পাখি। তীরে নামলেও শোনা যায় পাখির কলতানি। অবাধে ঘুরে বেড়ানো হরিণ। হারবাড়িয়ার পর কচিখালির চরে দেখা মেলে কুমিরের। বিভিন্ন স্পটেই নদীর চরে রোদ পোহাতে দেখা যায় নোনা জলের এসব কুমির।

আজহারুল মামুন আরও জানান, পর্যটকদের এই আকর্ষণকে বাস্তবে রূপ দিতে ট্যুরিজম ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে সী পার্ল। পর্যটকদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পেলে ভবিষ্যতে এই ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা হবে।

বিলাসবহুল এ জাহাজে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দপূর্ণভাবে সুন্দরবনের দুর্গম এলাকাগুলো যেমন- হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর, হারবাড়িয়া ইক্যু টৃরিজম, ডিমেরচর, কটকা, কচিখালী, কলাগাছিয়া, শেখেরটেক, কালাবগি ও কৈলাশগঞ্জ ভ্রমণ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, সী পার্ল ক্রুজেস হচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ফ্রাঞ্চাইজিস রয়েল টিউলিপের কক্সবাজারে অবস্থিত সবচেয়ে বড় পাঁচ তারকা মানের হোটেল সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: