নাটোরে ইজিবাইক চালক মিলন হত্যায় জড়িত ৪ জন গ্রেপ্তার

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

নাটোরে ইজিবাইক চালক খোরশেদ আলম মিলন (৩২) হত্যার তদন্ত শুরুর আগেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোঃ সজিব হোসেন (১৯), মোঃ মেহেদী হাসান(২২), মোঃ রবিউল ইসলাম (২৩) ও মোঃ সাগর আলী (৪০) নামে চারজনকে গ্রেফতারসহ খোয়া যাওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত মোঃ সজিব হোসেন লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মোঃ নাজমুল হোসেনের ছেলে, মোঃ রবিউল ইসলাম একই এলাকার মোঃ আরজ আলীর ছেলে, মোঃ মেহেদী হাসান সদর উপজেলার কাফুরিয়া (গাওপাড়া ঢালান) এলাকার মোঃ আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে ও মোঃ সাগর আলী দস্তানাবাদ এলাকার মৃত সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে।

তাদের মধ্যে সজিব আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ১৪ মে গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রীবেশে বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকা থেকে চালক খোরশেদ আলম মিলনের ইজিবাইক আড়াইশ’ টাকায় ভাড়া নিয়ে লালপুরের কদমচিলান এলাকার দিকে যায়। তারা চালক মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরদিন সন্ধ্যার দিকে ঘাটচিলান গ্রামস্থ কদিমচিলান-ঈশ্বরদী রাস্তার পাশে মোঃ আব্দুস সামাদের মালিকানাধীন আখ ক্ষেতে মুখের মধ্যে মাটি ভরা অবস্থায় খোরশেদ আলম মিলনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।

পুলিশ রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় মিলনের পিতা বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে লালপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা আরও জানান, চৌকস অফিসারের সমন্বয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ও ডিএসবি ৬টি টিমের নিরলস পরিশ্রমে দ্রুত সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মোঃ সজিব হোসেনকে ১৬ মে সকালে তার বসতবাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় মেহেদী হাসান, রবিউল ইসলাম এবং অপর একজন মিলে ভিকটিমের ইজিবাইকটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

ভিকটিম মিলন আসামি সজিব ও রবিউলের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় রাতে তারা বনপাড়া হতে ২৫০ টাকা ভাড়ায় ঘাটচিলান গ্রামে যায়। ভিকটিমের ইজিবাইকটি নতুন হওয়ায় তারা সেটি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।