শিরোনাম

South east bank ad

পরিচয় গোপন করে প্রেমিকাকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে, পরে হত্যা!

 প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   পুলিশ

পরিচয় গোপন করে প্রেমিকাকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে, পরে হত্যা!

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর মোড়ে আবাসিক হোটেল ‘ড্রিম হ্যাভেন’ এ এক নারীকে খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।

খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় নাটোরের সদর থানার আগদিঘা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি মো. মিঠুন আলীকে (২৮) তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মিঠুন জেলার সদর থানার আগদিঘা গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর মোড়ের ড্রিম হ্যাভেন হোটেলের ম্যানেজার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজপাড়া থানা পুলিশকে জানায়, তার হোটেলের একটি রুমে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকলেও ভিতরে একজন নারী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চারতলার একটি কক্ষের (৪০৩ নম্বর) তালা ভেঙে প্রবেশ করে একজন নারীকে খাটের ওপর অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। নারী পুলিশ অফিসারের সহায়তায় পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, সে বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি মারা গেছেন।

পরে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের সহযোগিতায় রাজপাড়া থানা পুলিশ নারীর ঠিকানা শনাক্ত করাসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করে। জানা যায়, মৃত নারীর নাম জয়নব বেগম (৪০)। পুলিশ তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংবাদ পেয়ে মৃতের স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করে। তার বড় ভাই মো. তছলেম প্রামানিক (৪৫) বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। মামলা রুজুর পর রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামিকে শনাক্ত করতে অভিযান নামে।

মহানগর পুলিশেল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজপাড়া থানার একটি দল হোটেলের ভিডিও ফুটেজ এবং রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, হোটেলের পুরুষ রেজিস্ট্রারে মিজানের নাম ও নারী রেজিস্ট্রারে জুলেখার নাম। তাদের উভয়ের ঠিকানা গোদাগাড়ী এবং সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী দেওয়া রয়েছে।

গত ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় তারা ড্রিম হ্যাভেন হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০৩ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে। একই দিন দুপুর ২টায় মিজানকে রুমে তালা দিয়ে মুখ আড়াল করে হোটেল ত্যাগ করতে দেখা যায়। এরপর থানা পুলিশের ওই টিম আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামির নাম-ঠিকানা ও তার অবস্থান শনাক্ত করে।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় নাটোর জেলার সদর থানার আগদিঘা গ্রামের অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. মিঠুনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামির ঘর তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অপরাধের সময় পরিহিত পোশাকসহ অন্য আলামত জব্দ করে।

পুলিশ কমিশনার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি জানান, মৃত জয়নব বেগমের সঙ্গে তার ৩ মাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে জয়নব তাকে বিয়ের জন্য চাপ ও হুমকি প্রদান করে আসছিলেন। তাই তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত রোববার জয়নাবকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মিথ্যা নাম- ঠিকানা ব্যবহার করে ড্রিম হ্যাভেন হোটেলে ওঠেন। এরপর তিনি হোটেল কক্ষে জয়নব বেগমকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে হোটেল কক্ষ থেকে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

BBS cable ad

পুলিশ এর আরও খবর: