শিরোনাম

South east bank ad

আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন নীতিমালার শর্ত শিথিল

 প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বাংলাদেশ ব্যাংক

আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন নীতিমালার শর্ত শিথিল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

আমদানি পরবর্তী অর্থায়নে আগে জামানত নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে আমদানি পরবর্তী অর্থায়নে জামানত বাধ্যতামূলক নয়। নীতিমালার এমনই কিছু শর্ত শিথিল করে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নির্দেশনাটি মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দেশের কার্যরত সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের কৃষি খাতসহ অন্যান্য জরুরি খাতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে সুসংহত করার জন্য দেশের আমদানি কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল রাখতে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন নীতিমালায় সংশোধন আনা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণ যে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন হিসেবে বিবেচিত হবে না, তা নতুন নির্দেশনায় স্পষ্ট করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের জুনে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর তাতে কিছু শর্ত শিথিল করার পাশাপাশি নীতিমালায় নতুন কিছু বিষয় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

নীতিমালার নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য তথা- চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা, ভোজ্যতেলে আগের মতোই সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য অর্থায়ন করা যাবে। অন্যান্য ট্রেডিং পণ্যে এখন থেকে মেয়াদ হবে ১২০ দিন।

এ ছাড়া সার, বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি এবং প্রাণিজ খাতের আমদানি পণ্য যেমন- মৎস্যসহ গৃহপালিত পশুপাখির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ, ভ্যাকসিন, ওষুধের ক্ষেত্রে ১৮০ দিন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এগুলোর মেয়াদ নির্ধারণ করা ছিল না। শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে আগের সর্বোচ্চ ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ২১০ দিনের জন্য ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অন্যান্য ট্রেডিংয়ে আগের মতোই ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। শিল্পের কাঁচামালে বাড়ানো যাবে আগের মতোই ৬০ দিন। আর কৃষি খাতের পণ্যের ক্ষেত্রেও ৬০ দিন মেয়াদ বাড়ানো যাবে। অন্যদিকে স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া যাবে না।

স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে আমদানি অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা যাবে না। তাছাড়া কোনো গ্রাহককে একই এলসির বিপরীতে পণ্য আমদানিতে একাধিকবার এই ধরনের ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কোনো কারণে ঋণ বকেয়া হয়ে পড়লে খেলাপি হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই গ্রাহকের নামে নতুন ঋণ দিতে হলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন,১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

BBS cable ad

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আরও খবর: