শিরোনাম

South east bank ad

‘স্মৃতির মণিকোঠায় শেখ রাসেল’

 প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

স্টাফ রির্পোটার

এ বছর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

এদিকে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিফিন্যান্সিয়াল নিউজ ২৪.কম লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ প্রকাশনা ‘স্মৃতির মণিকোঠায় শেখ রাসেল’।

প্রকাশনাটিতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশ বরেণ্য সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষাবিদ গণের গুরুত্বপূর্ণ লেখা স্থান পেয়েছে।

বিডিফিন্যান্সিয়াল নিউজ ২৪.কম লিমিটেড-এর প্রকাশক নীলিমা চৌধুরী বলেন, সাহস আরবীরত্বের উষ্ণতা নেবার যখনই ছিল শ্রেষ্ট সময়, ঠিক তখনই নরঘাতকদের দল তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যেন শেখ রাসেল স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবের ছেলে, এটাই হয়তো ছিল তার একমাত্র এবং সবচেয়ে বড় অপরাধ।

দশ বছরের শিশু রাসেল প্রতিদিনের মতো সেনিও ঘুমিয়ে ছিল। আকস্মিক গুলির বিভৎস্যতায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গা চোখ নিয়ে সে আতঙ্কিত হয়, চমকে ওঠে। অবস্থা বুঝে বেগম মুজিব আদরের দুলাল রাসেলকে রক্ষায় কাজের লোকসহ পেছনের রজা দিয়ে চলে যেতে বলেন। গেট দিয়ে বাইরে যাবার সময় ঘাতকরা তাকে আটক করে। এ সময় বাড়ির ভেতরে মুহুর্মুহু বুলেটের শব্দ আর বীভৎস্য আর্তচিৎকার শুনে অবুঝ শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘাতকদের বলেছিল, ‘আমি মায়ের কাছে যাব।’ কিন্তু এতটুকু মন গলেনি পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী ঘৃণ্য নরপিশাচদের।

আগেই বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করেছে। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঠান্ডা মাথায়  একটি সুন্দর ও অবুঝ শিশু শেখ রাসেলকেও গুলি করে হত্যা করে।

শিশু রাসেলকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম অপরাধ করেছে। এ ধরনের নিষ্ঠুর ‘মার্সি কিলিং’ শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সেই সঙ্গে ধ্বংস করেছে তার সব অবিকশিত সম্ভাবনাও। বাবার বুকের গভীরে মুখ রেখে সাহস আর বীরত্বের উষ্ণতা নেয়ার যখনই ছিল শ্রেষ্ঠ সময়, ঠিক তখনই নরঘাতকদের দল তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

বিডিফিন্যান্সিয়াল নিউজ ২৪.কম লিমিটেড-এর সম্পাদক মোঃ ইউছুফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছেলে হয়েও শেখ রাসেলের চলাফেরা ছিল খুব সহজ সরল এবং সাধারণ। তার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ ও আন্তরিকতা সবাইকে মুগ্ধ করতো। শেখ রাসেলের বিভিন্ন শিক্ষকও বলেছেন, তাদের শিক্ষক জীবনে শেখ রাসেলের মতো শিক্ষার্থী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

মেধা ও মননের অপূর্ব সমাহার ছিল শিশু রাসেলের কচি মনে। তার শিশু মন ছিল মানবিকতায় ভরা। তার মনে হাজারো প্রশ্ন থাকত, সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইত। শিশু রাসেলের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বাবাকে ছাড়াই। কারণ তার বাবা রাজনৈতিক বন্দি হয়ে কারাগারে কাটিয়েছেন জীবনের বেশিরভাগ সময়। তাই তো মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে আব্বা বলে সম্বোধন করত রাসেল। এসব নিয়ে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধুর মনেও চাপা কষ্ট অনুভুত হত।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির প্রতিটি মানুষ মানবিকবোধে গুণান্বিত। শেখ রাসেল মাত্র ১০ বছরের শিশু হয়েও সেই মূল্যবোধে তাদের একজন হয়ে উঠেছিল। তবে ঘাতকেরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্য করলেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। সেই প্রত্যাশায় তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ছোট্ট শিশুটিকেও ছাড় দেয়নি।

শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ একজন সু-নাগরিক হিসেবে দেশের উন্নতি করতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা হারিয়েছি। তবে সেই ছোট্ট শিশুর আদর্শে আমাদের শিশুরা বেড়ে উঠবে এবং দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শেখ রাসেলের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: