শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীর পদত্যাগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক! শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগে পরিচালনা পর্ষদের কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ তো দূরের কথা বরং জনাব বারীকে এমডি নিয়োগ করার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত শিথীল করে নিয়োগের জন্য পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন কোনো ব্যাংকের এমডি হতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাজীবনের কোথাও তৃতীয় বিভাগ পাওয়া ব্যক্তি যোগ্য হবেনা। সেই শর্ত অনুযায়ী জনাব বারী এমডি হবার জন্য উপযুক্ত নন। যেহেতু ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি’র মেয়াদ শেষে শূণ্য পদে দ্রুত নিয়োগের প্রয়োজন হয়, সেহেতু ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৪৫ তম সভায় জনাব বারীকে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রস্তাব প্রেরণ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা অনুমোদন করে।
জনাব বারী দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ব্যাংকের এডিআর রেশিও উন্নয়ন ও ব্যাংক ব্যাবস্থাপনা গতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছিল। জনাব বারী এই চাপ নিতে পারছিলেন না বলে একাধিকবার মৌখিকভাবে দক্ষ একজন এমডি এবং ব্যাংকের কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। ব্যাংকের শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান জনাব মনোয়ারা সিকদার আগামী এজিএম পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরবার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী পদত্যাগ করেন। অথচ প্রথম আলো, বণিক বার্তা, সমকালসহ বেশ কিছু দৈনিক ও অনলাইন কাগজ এ ব্যাপারে ভিত্তিহীন খবর পরিবেশন করেছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক দেশের প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক। সারাদেশের লক্ষ লক্ষ আমানতকারীর আস্থার প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক গত অর্থবছরেও সেরা করদাতা হয়েছে। আমরা আশা করবো কেউ ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করবেন না। দেশে-বিদেশে এই ব্যাংকের দুইশতাধিক শাখায় হাজার হাজার কর্মী রয়েছে। এই কর্মীদের জীবিকা এবং আমানতকারীদের বিনিয়োগের ঝুঁকি সৃষ্টি হয় এমন সংবাদ পরিবেশন করা থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো যাচ্ছে। সত্য সংবাদ পরিবেশনে আমরা সবসময় গণমাধ্যমকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।