শিরোনাম

South east bank ad

মাহফুজ আনামের যত কাণ্ড

 প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সম্পাদক পরিষদ থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে মাহফুজ আনামের আরেকটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে উন্মোচিত হলো। নঈম নিজাম বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক এবং সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তাঁর পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সম্পাদক পরিষদের সভাপতির সঙ্গে নীতিগত মনোভঙ্গি একমত না থাকার কারণে আমি সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জানা গেছে যে, সম্পাদক পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত উপেক্ষা করে সংবাদপত্র মালিকদের কারও কারও বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এনে ব্যক্তিগত কুৎসাচারে লিপ্ত থাকার কারণেই মাহফুজ আনামের সঙ্গে নঈম নিজামের এই বিরোধ। সম্পাদক পরিষদ নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক আছে। দেশের সিংহভাগ পত্রিকার সম্পাদকরা এই পরিষদের সদস্য নন। মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান গংরা তাদের নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটি কোটারি গ্রুপ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং তারই অংশ হিসেবে সম্পাদক পরিষদ গঠিত হয়েছে। এই সম্পাদক পরিষদ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের অধিকারের জন্য কতটুকু কাজ করেছে সে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হল যে, এরকম একটি পরিষদে দেশের সিংহভাগ পত্রিকার সম্পাদকরা অন্তর্ভুক্ত নন। কেন তারা অন্তর্ভুক্ত নন সে প্রশ্নেরও উত্তর নেই। মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমানের কাণ্ড কীর্তির এটি একটি ছোট্ট উদাহরণ মাত্র যেটি নঈম নিজাম আজ আরেকবার প্রকাশ্য করলেন।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে যারা ষড়যন্ত্র এবং রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রথম আলো-ডেইলি স্টার গ্রুপ। ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা এবং বিরাজনীতিকরণ তত্ত্বের উদ্যোক্তাকে মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনাম। সেই সময় মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমান লাগাতারভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্র হনন করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত ছিলেন। মাহফুজ আনাম পরবর্তীতে এটিএন নিউজে মুন্নি সাহার সঙ্গে এক টকশোতে স্বীকার করেছেন যে, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই বাছাই না করেই তিনি চরিত্রহননের কাজে ব্যবহার করেছিলেন। এই মাহফুজ আনামরাই আবার বিভিন্ন সময়ে জাতিকে সৎ সাংবাদিকতার নসিহত দান করেন। শুধু এটুকুই নয় বিভিন্ন ব্যক্তির চরিত্র হনন এবং প্রথম আলো-ডেইলি স্টার ট্রান্সকম গ্রুপের ব্যবসায়ী স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার নিয়মিত চর্চা করেন এই প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার গ্রুপ।

সাম্প্রতিক সময়ে, প্রথম আলো-ডেইলি স্টার একাধিক ইস্যু নিয়ে প্রচ্ছন্নভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে কুৎসিত, আপত্তিকর এবং নোংরা মন্তব্যের পিছনে মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনামদের হাত রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এমিনেস্ট ইন্টারন্যাশনাল সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মনগড়া, বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানেও মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমানের ইন্ধন রয়েছে বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে পেগাসাস স্পাইওয়ার ব্যবহার করা হয় এমন আজগুবি তথ্যগুলোকে নানাভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করার ক্ষেত্রেও প্রথম আলো-ডেইলি স্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আল জাজিরার বিতর্কিত প্রতিবেদনের পর একে নিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে তাকে সমর্থন করার একটা চেষ্টাও এই শীর্ষ দুই পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতির মধ্যে ছিল। সবচেয়ে ন্যক্কারজনক কাণ্ড মাহফুজ আনাম করেছিলেন যখন সাংবাদিক রোজিনা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সাংবাদিক রোজিনাকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে আপত্তিকর এবং অনৈতিক একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই বিজ্ঞাপনটি ডেইলি স্টার প্রকাশ করে তাদের অর্থলিপ্সার এক নির্লজ্জ প্রমাণ রেখেছিল। শুধু তাই নয় পরবর্তীতে মাহফুজ আনাম নিজের সম্পাদকীয় লেখা বলেছিলেন যে, যেকোনো বিজ্ঞাপন ছাপার স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করেন। আর এই ধরনের অপসাংবাদিকতা এবং অর্থলিপ্সাি মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমানের সাংবাদিকতা রীতি নীতির মূল উদ্দেশ্য। আর বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমান গংয়ের কাণ্ড আরেকবার জনসমক্ষে উন্মোচিত হলো।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: