শিরোনাম

South east bank ad

সাংবাদিক মিজানুর বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

 প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, নক্ষত্র ও অনুকরণীয়। তিনি সবসময় মানবাধিকারের প্রতি উদ্বিগ্ন ছিলেন। নিয়মিত তার লেখনি দিয়ে গুম, খুন ও অপহরণ নিয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আমাদের একজন মিজানুর রহমান খান ছিলেন’ শীর্ষক এক স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আইন বিশ্লেষক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত মিজানুর রহমান খানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

স্মরণ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিজানুর রহমান খান ছিলেন বাংলাদেশের একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, নক্ষত্র ও অনুকরণীয়। যার সমতুল্য দেশে এমন সাংবাদিক এখন আর নেই। তিনি যখন আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে খুঁটে খুঁটে জিজ্ঞাসা করতেন আমি অবাক হয়ে যেতাম। আমি এখন পর্যন্ত তার লেখনি সমতুল্য কোনো সাংবাদিকের লেখা পাইনি।

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন বলেন, মিজানুর রহমান খান মৃত্যুর ১৩ দিনে আগে আমার সঙ্গে আদালতে আলাপকালে বলেন, স্যার আমি আর সাংবাদিকতা করতে চাই না। যদি জীবনে অন্য কোনো কিছু শিখতাম তাহলে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতাম। কারণ ইদানীং বুঝতে পারছি, আমি যা দেখেছি ও শিখেছি এখন আর তা লিখতে পারি না, আমি ভয়ের মধ্যে আছি। আমি মনে করি, তিনি আর বেশি দিন বাঁচতে চাননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, মিজান ছিলেন বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ, মিজানের শূন্যস্থান এদেশে আর পূরণ হবে না। তিনি ছিলেন সৎ, নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিক।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ বলেন, মিজানুর রহমান খান একজন সামাজিক বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তিনি চিন্তাশীল বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন। তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের মধ্যে দিয়ে তিনি আজীবন এদেশে সাংবাদিকতার মহানায়ক হিসেবে থেকে যাবেন।

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, মিজান ভাই নিরাপদ সড়ক বিষয়ক আইনগুলো সহজ করে গণমাধ্যমে তুলে ধরতেন। যা দ্বারা আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকসহ দেশের মানুষের কাছে এতো ভালোবাসার পাত্র ছিলেন যে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের কোনো সাংবাদিকের জানাযায় কখনো এতো মানুষ হয়নি, তার মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান খানের স্ত্রী, ছেলে সাদমান হোসেন ও ছোট ভাই সাংবাদিক মশিউর রহমান খান প্রমুখ। এছাড়া মিজানুর রহমান খানের সহকর্মীরা ও বন্ধুজনরা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: