শিরোনাম

South east bank ad

ভাষাশহীদ আবদুস সালামের মৃত্যু

 প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মৃত্যুবার্ষিকী

ভাষাশহীদ আবদুস সালামের মৃত্যু

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ভাষাশহীদ আবদুস সালামের মৃত্যুদিবস আজ। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতির দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সৃষ্ট বাংলা ভাষা আন্দোলনে ১৯৫২ সালে নিহত হন তিনি। আবদুস সালাম ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তার নামানুসারে পরে গ্রামের নামকরণ করা হয় সালামনগর। চাকরির সুবাদে আবদুস সালাম আজিমপুরে (পলাশী ব্যারাক) ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। এ সময় তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের ‘পিয়ন’ হিসেবে কাজ করতেন।

বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভে অংশ নেন সালাম। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্রে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবদুল জব্বারদের সঙ্গে আবদুস সালামও গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯৫২ সালের ৭ এপ্রিল তিনি মারা যান। পরে তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অন্যতম যুদ্ধজাহাজ ‘বিএনএস সালাম’ তার নামে নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০০ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করে। ২০০৮ সালে ‘ভাষাশহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ সালামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০০০ সালে তার নিজ গ্রাম লক্ষ্মণপুরের নাম পরিবর্তন করে ‘সালামনগর’ রাখা হয়। ‘ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হল’ নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আবাসিক ছাত্র হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়া তার নামে দাগনভূঞা উপজেলার সালামনগরে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘ভাষাশহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজ’।

BBS cable ad

মৃত্যুবার্ষিকী এর আরও খবর: