শিরোনাম

South east bank ad

অহিদুল আলম ডাবলু গোহালা ইউপি চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী

 প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মেহের মামুন, (গোপালগঞ্জ):

মুকসুদপুরে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে জোরালোভাবে জনসংযোগ ও মনোনয়ন দৌড়ে নেমে পড়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তপশীল ঘোষনার পর পরই এসব প্রার্থীরা ভোটের মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার, লিফলেট ছেপে ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ও সমাবেশে যোগ দিয়ে তাদের প্রার্থীতার পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজেদের সাংগঠনিক ভীত, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা প্রমাণে ব্যাপকভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আলাদা আলাদাভাবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য উপজলো, জেলা, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ কেউ কেউ আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তারা ভোটারদের কাছে দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করছেন। তাদের থেকে পিছিয়ে নেই গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অহিদল আলম ডাবলু। তিনি নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ( ১৫ অক্টোবর) সকালে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেছন। গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুর্গ হওয়ায় এখানে দলীয় প্রার্থীর সংখ্যা কম নয়। এই ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গোপালগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মাদ ফারুক খানের আশির্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে কেউ কেউ নির্বাচন করবেন না বলেও শোনা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য মুকসুদপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবারে নির্বাচন কমিশনের ৮৭ তম বৈঠকের সিদ্ধান্তে ৩য় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মুহাম্ম হুমায়ুন কবীর খন্দকার। ৩য় ধাপে ১০০৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একই সাথে ৮ম ধাপে ১০টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগমী ২৮ শে নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে ২ নভেম্বর মঙ্গলবার ও বাছাই ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এবং ১১ নভেম্বর রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার অনুষ্ঠিত হবে।

সরেজমিনে গোহালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান গোহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, বর্তমানে গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অহিদুল আলম ডাবলুর সাথে কথা হলে তিনি মুকসুদপুর সংবাদকে জানান আমি আওয়ামীলীগ-মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি ও আমার পরিবার গোহালা ইউনিয়নের গরীব দুঃখী মানুষের পাশে আছি। তাদেরকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে আসছি, সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি। আমি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হতে পারলে এই ইউনিয়নের গরীব, দুঃখী , অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের সেবা করতে পারব। এলাকার মানুষের চাওয়া পাওয়া কে আমি প্রাধান্য দিব এবং কোনভাবে ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করব না। আমার ইউনিয়ন কে আমি ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে রুপদান করব। তিনি আরো জানান আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল খালেক শেখ গোহালা ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এছাড়াও আমার ২ চাচা ও ফুফাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার বড় ভাই আশ্রাফুল আলম পপলু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক। আওয়ামীলীগ এই ইউনিয়নে আরো বেশি সু-সংগঠিত হতে পারে সে জন্য কাজ করছি। আমি আমার প্রাণ প্রিয় নেতা ফারুক খানের দোয়া নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করব। দলীয় মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আওয়ামীলীগ এই ইউনিয়নে আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মনোনয়ন দিবে এটা আমার বিশ্বাস।

তিনি আরো জানান, আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে সর্মথন দিয়ে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নিদের্শনা মতে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদারের দিকনির্দেশনায় নৌকার পক্ষে নির্বাচন করে প্রার্থীকে জয়ী করতে সক্ষম হই। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হলে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার আমাকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বল্লে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াই। সুতরাং দলের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। এবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার শতভাগ আশাবাদী। আমি আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসাবে আমাকে যদি নৌকা প্রতিক দেয়া হয় তাহলে গোহালা ইউনিয়নবাসী’র কাঙ্খিত আশার প্রতিফলন ও তাদের সব ধরনের চাওয়া পাওয়ার প্রাপ্তি ঘটবে বলে আমি আশাবাদি। আমাকে নৌকা প্রতিক দিলে ইউনিয়নে কোন বিতর্কের সৃষ্টি হবে না।

এসময় কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, অহিদুল আলম ডাবলু একজন সৎ এবং স্বচ্ছ লোক, তিনি গোহালা ইউনিয়নের অনেক সামাজিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান এলাকার গরীব শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম, স্কুল কলেজে ভর্তি ফি সহ নানান ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। এলাকার গরীব দুঃখি মানুষের যে কোন ধরনের বিপদে সাহাজ্য সহযোগিতা করে থাকেন। এলাকার সর্বস্তরের জনগন তাকে ভালোবাসেন। এলাকাবাসী আরো জানান খেলা ধুলার জন্য স্থানীয় যুবকদরে সব ধরনের সহায়তা করে থাকেন। আওয়ামীলীগের জন্মলগ্ন থেকেই তার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে বিশেষভাবে জড়িত। এবং বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক দিবস পালনে গোহালা ইউনিয়নে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তিনি আরও জানান, এবারের শীতে কয়েকবার শীত বস্ত্র কম্বল এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। মহামারী করোনার মধ্যে সাধারণ জনগনের মাঝে কয়েক তরফা ত্রাণ বিতরণ করেছি।


রাজনৈতিক দিকে তার অবস্থান এলাকায় বেশ জোরদার । তিনি গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক, গোহালা শহীদ স্মৃতি সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক, সৈয়াদুন্নেছা রাজ্জাকিয়া মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি। গোহালা বাজারে অগ্রণী দুয়ার ব্যাংকিংয়ের পরিচালক।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: