আ‘লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত লাল সভাপতি, প্রিন্স সম্পাদক
সুশান্ত কুমার সরকার , (পাবনা):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপির এখন কোন রাজনীতি নেই, কাজ নেই। ঘরে বসে বিএনপি আওয়ামীলীগের ভুল ধরে আর আওয়ামীলীগের বিদায় ঘন্টা বাজায়।
মুলত: বিএনপিরই বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে। তাই জাতির পিতার সুযোগ্য মেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বদলে গেছে। ৩ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে নানাভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তাই দেশের কোথাও এখন আর কুঁড়ে ঘর খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামীতে নৌকা না আসলে তারেক আসবে, আবার হাওয়া ভবন হবে, খোওয়াব ভবন হবে। বিধবা ভাতা, বয়ষ্ক ভাতাসহ সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কাজেই শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ লাইনস মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধক আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না। অন্ধকারের পথ ধরে ক্ষমতায় আরোহন করা সম্ভব নয়।
এর আগে ভার্চুযালে যুক্ত হয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার উন্নয়ন রুখে দিতে দেশে-বিদেশে শত্রুতা আর ষড়যন্ত্র চলছে। আর ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে নিজেদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে। আওয়ামীলীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে এবং ষরযন্ত্রকারীদের রুখতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমানের প্ররোচনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানও শত শত সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এবাবেই তারা দেশে হত্যার রাজনীতি কায়েম করে এবং উন্নয়নের রাজনীতি বন্ধ করে দেয়।
বেগম জিয়া সারের জন্য কৃষককে, বেতনের জন্য শ্রমিককে হত্যা করে। তিনি বলেন, এত কিছুর পরও শেখ হাসিনা দলকে গুছিয়ে এনছেন। আগামীতে আবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে এই উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির সঞ্চলনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যকরী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, প্রফেসর মেরিনা জাহান এমপি, সাবেক স্বরাম্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি, সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিতে রেজাউল রহিম লালকে সভাপতি ও গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
