শিরোনাম

South east bank ad

এক যুগ বছর পর অধ্যক্ষ ফিরলেন স্বপদে

 প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ফয়সাল আহমেদ, (গাজীপুর) :

এক এক করে কেটে গেছে ১২বছর। একদিনের জন্য পিছপা হননি তিনি। অবৈধভাবে কলেজ থেকে বের করে দেয়াটা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। একাই চালিয়েছেন আইনী লড়াই। অবশেষে আদালতের নির্দেশে নিজ পদে বহাল হলেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর বীরমুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের (নবজাতীয়করণকৃত) অধ্যক্ষ পদে দীর্ঘ ১২বছর পর আইনী লড়াই করে স্বপদে বহাল হলেন তোফাজ্জল হোসেন আখন্দ। ২০০৯সালে জোড়পূর্বক তাকে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের অনুসারীরা। এর পর থেকেই তিনি পদ ফিরে পেতে শুরু করেন আইনী লড়াই।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ৫ম সিনিয়র জজ আদালত তার স্বপদে বহাল হওয়ার আদেশ দিলে তিনি ১৬অক্টোবর (শনিবার) কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগদানের আবেদন করেন।

অধ্যক্ষের আইনজীবি এএএম আমানুল্লাহ ফরিদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দকে ২০০৯সালে সন্ত্রাসী কায়দায় জোড় করে কলেজ থেকে বের করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ। পরে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পরিচালনা পরিষদকে ব্যবহার করে নুুরুন্নবী আকন্দ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে বহাল হন। তোফাজ্জল হোসেন বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে তিনি কলেজে প্রবেশ করতে না পেরে গাজীপুর আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা ২৩০/২০১০দায়ের করেন। পরে তা ৫ম সিনিয়র জজ আদালতে তা বদলী হয়ে ৭২/১৩ পরিনত হয়। অবশেষে দীর্ঘদিন শুনানী শেষে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল মর্মে রায় দেন। এখন থেকে তার দায়িত্বপালনে আর কোন বাধা রইল না।

শ্রীপুর রহমত আলী কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আখন্দ বলেন, ২০০৫সালে তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ লাভ করে দায়িত্বরত ছিলেন। পরে ২০০৯সালের কলেজের পরিচালনা পরিষদের এক সভাচলাকালীণ তাকে সন্ত্রাসী কায়দায় জোড় করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে বের করে দেয়। পরে তারা রেজুলিউশন তৈরী করে নুরুন্নবী আকন্দকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা তার কাছে ছিল চরম অপমান। তাই অন্যায় এ বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। চালিয়েছেন আইনী লড়াই।

তিনি আরো বলেন, বিধি অনুযায়ী বয়স হয়ে যাওয়ায় তার চাকুরীর মেয়াদকাল আর কয়েকমাস রয়েছে। আদালতের আদেশে সত্যের জয় হয়েছে। বাকী কয়েকমাস তিনি সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্বপালন করতে চান।

কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি মামলার আদেশের কপি সহ যোগদানের অনুমতি চেয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য ২০০৯সালে তোফাজ্জল হোসেনকে কলেজ থেকে বিতারিত করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক প্রয়াত সাংসদের ছেলে জামিল হাসান দুর্জয়ের অনুসারী হিসেব খ্যাত কলেজের প্রভাষক নুরুন্নবী আকন্দ। যদিও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার হন। নিরাপত্তার কারণে গত ০৩বছর ধরে তিনি ঢাকার বাসায় বসে কলেজের দায়িত্বপালন করছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: