শিরোনাম

South east bank ad

এসআই'র বিরুদ্ধে নারীর মামলা, গ্রেফতারের নির্দেশ আদালতের

 প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ লিহাজ উদ্দিন, পঞ্চগড়):

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ৩৬ বছরের এক বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও ভূয়া বিয়ে করে প্রতারণার দায়ে কুড়িগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের (৪৫) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।

আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় বিজ্ঞ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এসআই আব্দুল জলিলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এসআই আব্দুল জলিল গাইবান্ধা জেলার উত্তর ফুলিয়া সদর এলাকার আব্দুল শুকুর আলীর ছেলে। সে বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত রয়েছেন। আদালত ও দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিধবা ওই নারীর মৃত স্বামীর ভাইয়ের সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।

এ ঘটনায় ওই নারী গত ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এর পর এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত থাকায় সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত শুরু করেন। এর মাঝে এসআই বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখানো শুরু করে ওই বিধবা নারীকে। একই বছরের গত ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার পূর্বজালাশী এলাকার বাদীনির মৃত স্বামীর বসতবাড়ীতে শয়ন ঘরে প্রবেশ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে জলিল। এসময় ওই বিধবা নারীর সন্তানেরা শব্দ পেয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে।

পরে এসআই তাকে বিয়ে করতে চেয়ে মোবাইল ফোনে দুইজনকে ডেকে আনে। ওই দুইজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজেদের কাজী ও মৌলভি পরিচয় দিয়ে একটি নীল কাগজে দুজনের স্বাক্ষর করে নেয়, একই সাথে বিয়ে কবুল করান। এর পর মৌলভী দ্বারা বিবাহ পড়ানো হয়। এর পর যেহেতু সরকারি চাকুরি করেন তাই চাকুরীরর রক্ষার্থে এবং পূর্বের স্ত্রীকে বুঝাইয়া তাকে বাড়িতে নিবেন বলে পঞ্চগড়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় দীর্ঘদিন শারীরিক মেলামেশা শুরু করেন।

ওই বিধবা নারী এসআই জলিলের কাছে বিবাহের কাবিন নামা দেখতে চাইলে সে কালক্ষেপন করতে শুরু করে। এর পর জলিল উপরমহলকে ম্যানেজ করে পঞ্চগড় থেকে কুড়িগ্রামে চলে যায়। তাকে না পেয়ে যোগাযোগ করা হলে সে ৭ অক্টোবর পঞ্চগড় কোর্টে সাক্ষী দিতে এসে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। পরে পঞ্চগড় এসে আবারো স্বামী পরিচয়ে শারীরিক মেলামেশা শুরু করেন।

এক পর্যায়ে কোর্টে স্বাক্ষী দিয়ে এসআই জলিল গোপনে কুড়িগ্রাম পালিয়ে যান। মোবাইলে এসআই মিথ্যা বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করার কথা শিকার করে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন। এর পর এই নারীর সাথে এসআই কোন যোগাযোগ না করায় বাদী কিছু বুঝিয়া উঠতে না পেরে গত ২০২১ সালের ২৫ মার্চ এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে ২০০০ সালের (সংশোধনী/০৩) আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ভূক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার সাথে বিভিন্ন প্রতারণা করেছে সে।

আমি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে সে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান শুরু করে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই, যাতে করে কোন মা-মেয়ে পুলিশের এমন নির্যাতনের শিকার না হয়। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন বলেন, বাদীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে এসআই কৌশলে পঞ্চগড় থেকে অন্যজেলায় চলে যায়। এখন তার সাথে কোন সম্পর্ক রাখছে না সে।

তাই বাদী ওই নারী আইনের আশ্রয় নিলে এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন আইনে আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে তদন্ত ও মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: