শিরোনাম

South east bank ad

কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সিপাই আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানিসহ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

 প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ জামাল হোসেন, (যশোর):

ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির নামে ভয়ভীতি দেকিয়ে জোর পূর্বক টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিচ্ছেন কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার বেনাপোল চেকপোস্টে কর্মরত সিপাই আমিরুল ইসলাম। কাস্টমস তল্লাশির পর পাসেজ্ঞার টার্মিনালের মধ্যে এ কাজ করছেন তিনি।

সাধারন পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানি করলেও ল্যাগেজ পার্টিদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে মালামাল পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগ আছে ওই সিপাই এর বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা গেছে. বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ভারত থেকে আসা দীপঙ্কর সাহা নামে এক ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রীর কাছ থেকে দুইটি হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শুল্ক গোয়েন্দা সিপাই আমিরুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাসপোর্ট যাত্রী দীপঙ্কর সাহা তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী দীপঙ্কর কলকাতার সরজপার্ক বারাসাতের বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট নং-(ইউ-৮৪১৯৯৬২)।

পাসপোর্ট যাত্রী দীপঙ্কর বলেন, আমি একজন ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রী। বুধবার আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় সম্পূর্ণ বৈধভাবে, বৈধ ভিসায় ভারত-বাংলাদেশ এর কাস্টমস ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে বের হওয়ার পথে প্যাসেজ্ঞার টার্মিনালের মধ্যে আমিরুল নামে একজন ব্যক্তি নিজেকে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে, আমার ব্যাগসহ সমস্ত দেহ তল্লাশি করে। এসময় আমার কাছে কিছু না পেয়ে, আমার পকেটে থাকা দুইটি হাত ঘড়ি তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনিয়ে নেন। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করার পরও তিনি আমার কথা শুনলেন না। আর আমার ঘড়ি দুইটিও ফিরিয়ে দিলেন না। এরপর আমি বাইরে বেরিয়ে আসি।

তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশি-বিদেশি যেসব যাত্রী আছে, তাদের কাছে বাংলাদেশ সরকারের একটা বদনাম হয়ে যাবে। অনেকের কাছে অভিযোগ করেও, কোন উপায় না পেয়ে, অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার বরাবর বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আমরা পাসপোর্টযাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং করে ছেড়ে দেওয়ার পর শুল্ক গোয়েন্দার সিপাই আমিরুল ইসলাম প্রতিদিন প্যাসেজ্ঞার টার্মিনালের মধ্যে ভারত ফেরত পাসপোর্টযাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। টাকা দিতে না চাইলে যাত্রীদের আনীত মালপত্র রেখে দেওয়ার ভয় দেখাই। অনেক সময় রাস্তার উপর ব্যাগ খুলে মালামাল তল্লাশির নামে মালামাল তছনছ করে ছেড়ে দেয়। অনেক যাত্রীর শরীর তল্লাশি করে থাকে। অনেক যাত্রীরা ঝামেলা এড়াতে টাকা দিয়ে পার হয়ে চলে যায়।

এছাড়া প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যার সময় ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ মালামাল নিয়ে আসা ল্যাগেজ পার্টির লোকজনকে দ্রুত কাস্টমস পার করার জন্য ল্যাগেজ প্রতি ২ থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়ে দ্রুত পার করে দেন। এ ঘটনা প্রতিদিন ঘটলেও এখানে দায়িত্বরত শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকা পালন করে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সিপাই আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি দীপঙ্কর নামে কোন যাত্রীর কাছ থেকে ঘড়ি ছিনিয়ে নেইনি। আর যদি আমাদের কেউ নিয়ে থাকে, ওই যাত্রীকে নিয়ে আসেন, তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই যাত্রী মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: