শিরোনাম

South east bank ad

জনস্বাস্থ্যের কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পানি সঙ্কটে এলাকাবাসী

 প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সোহেল কান্তি নাথ, ( বান্দরবান):

বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষে পৌর এলাকার বিভিন্ন পানির পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। গত (২৩ জানুয়ারি) থেকে পৌর এলাকার ৭ টি পানির পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

যার কারনে পৌর এলাকার ৭ টি লাইনে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌর এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনস্বাস্থ্য অধিদফতর বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সরকারী রাজস্ব আদায়ের লক্ষে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান বান্দরবান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর সহকারী প্রকৌশলি মো. মতিউর রহমান।

বান্দরবান বিদ্যুৎ উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান জনস্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন ৭ টি পানি সরবরাহ কেন্দ্রের ১ কোটি ১১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া রয়েছে।

এরমধ্যে ক্যচিংঘাটা ওয়াটার পাম্প থেকে বকেয়া ৭৯ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭২৫ টাকা, পৌর ওয়াটার সাপ্লাই থেকে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৬৮ টাকা, বালাঘাটা ওয়াটার পাম্প থেকে ৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, উজানী পাড়া পাম্প থেকে ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৮৩ টাকা, টেক্সটাইল ভোকেশনাল পাম্প থেকে পাঁচ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা, রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন পাম্প থেকে ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ১০৪ টাকা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ভবনের ৪২ হাজার ৮৪১ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য অফিসিয়ালি নোটিশ দেয়া হলেও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি। তাই রাজস্ব আদায়ের লক্ষে বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পানি সাপ্লাই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলি মো.মতিউর রহমান বলেন, বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৭টি হিসাব নম্বরের বিপরীতে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৮ হাজার ৩শত ৮০ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। পরিশোধের জন্য বারবার অফিসিয়ালি তাগাদা দিলেও তারা তা পরিশোধ করে নি।তাই সরকারি রাজস্ব আদায়ের জন্য সাতটি বিদ্যুৎ সংযোগ বকেয়ার দায়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এদিকে পাহাড়ী এলাকা বান্দরবানে প্রাকৃতিক ভাবে পানির উৎস খুবই কম হওয়ায় সাপ্লাই পানির উপর নির্ভরশীল পৌর এলাকার ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ওয়াটার পাম্প সচল না থাকায় পানি সরবরাহ দিতে পারছে না জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌর এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এত টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিস্মিত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা।

বালাঘাটার বাসিন্দা রাসেদ ইসলাম বলেন, আমাদরের লাইনে দীর্ঘদিন ধরে পানি আসছে না। আমার পানির বিলও কেয়া নেই।

রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন এলাকার আব্দুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পানি আসছে না। বাসায় খাবার পানিও নেই। আমরা এর সমাধান চাই।

এছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে ১৮ জানুয়ারি ইস্যুকৃত অগ্রনী ব্যাংকের একটি ৫ লক্ষ ১হাজার টাকার চেক প্রদান করলেও তা ৩০ জানুয়ারি ব্যাংকে উপস্থাপন করলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক চেকটি প্রত্যাখ্যান করে।

এবিষয়ে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা আচার্য্য জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে

পার্বত্য জেলা পরিষদ বান্দরবান ।এছাড়া চেকও ইস্যু করেছে জেলা পরিষদ । কেন বা কি কারনে এত টাকা বকেয়া বা চেক প্রত্যাখ্যান হলো সেটা জেলা পরিষদই ভালো বলতে পারবে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা জানান ,অসুস্থতার কারনে কিছুদিন খোঁজ খবর নিতে পারিনি। আজ বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। সাধারণত প্রতিবার সমন্বয় করে এসকল সমস্যার সমাধান করা হয়।তবে জনগণকে জিম্মি করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডর এধরণের বকেয়া আদায়ের সিদ্ধান্ত খুবই দূঃখ জনক।

তিনি আরো জানান, কেন চেক প্রত্যাখ্যান হল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং জনগণ যাতে পানির জন্য কষ্ট না পায়

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: