শিরোনাম

South east bank ad

জব্দ ১২ বাসে অগ্নিকাণ্ড, কারণ খুঁজতে কমিটি

 প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

জব্দ ১২ বাসে অগ্নিকাণ্ড, কারণ খুঁজতে কমিটি

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুরে আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় গ্রেফতার দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত (১২ মার্চ) শনিবার রাতে মামলাটি করা হয়।

এদিকে এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজতে ও ঘটনা তদন্তে গতকাল (১৩ মার্চ) রোববার দুপুরে একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তিন সদস্যের কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অর্থপাচার মামলায় আদালতের মাধ্যমে সাউথ লাইন পরিবহনের মোট ২২টি বাস আলামত হিসেবে জব্দ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জব্দ করা বাসগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল ফরিদপুর জেলা পুলিশ। বাসগুলো শহরের পশ্চিম গোয়ালচামট মহল্লায় সাজ্জাদ হোসেন বরকতের মালিকানাভুক্ত জায়গায় রাখা ছিল।

গত (১১ মার্চ) শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে ২২টি বাসের মধ্যে ১২টি বাসে আগুন জ্বলতে দেখে ওই খানে নিয়োজিত বরকতের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আলী। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত আড়াইটার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে ১২টি বাস পুড়ে যায়।

ঘটনার পর শনিবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করেছেন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) মো. ইমদাদ হোসেনকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বাসগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত নৈশ প্রহরী মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যে বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ফরিদপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু বাসগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: