শিরোনাম

South east bank ad

তিস্তার পানিতে রংপুরের তিন উপজেলার ৪৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

 প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমিনুল ইসলাম জুয়েল, (রংপুর) :

উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সবকয়টি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তার ভাটি অঞ্চলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলের ৪৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩০টি, কাউনিয়া উপজেলায় ১০টি ও পীরগাছা উপজেলার ৫টি গ্রাম হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে। ওইসব গ্রামের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তার পানি দোয়ানি পয়েন্টে বুধবার সকালের দিকে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টার দিকে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ১০টার দিকে ১৪ সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

উজানের ঢল নেমে আসা অব্যাহত থাকায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আর রাত ১০ টায় ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আরো বেড়ে পূর্বের রেকর্ড ভেঙে ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুরের দিকে পানি কমতে শুরু করেছে। দুপুর ১টার দিকে ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিম্নাঞ্চলে আবাদকৃত ধান, আলু ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। চরে কয়েক শত হেক্টর জমিতে আগাম আলু রোপন করা হয়েছিল। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ, মর্নেয়া, লক্ষ্মিটারি, আলমবিদিতর, নোহালী গজঘণ্টা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে এখনও হাটু থেকে কোমড় পরিমাণ পানিতে তলিয়ে আছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার বাড়ি ছেড়ে তিস্তা নদী রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বাড়ায় উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের ১০টি গ্রাম কোমর পানি পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় শত শত পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাহাবুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানিতে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি চরের সবকিছু। পানিবন্দি মানুষকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

পীরগাছার গাবুড়া, শিবদেব ও রামশিংসহ চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা বেগম জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় মাইকিং করে পানিবন্দি মানুষকে বাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আশার কথা সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। ডালিয়া ও গঙ্গাচড়া পয়েন্টে পানি কমেছে। কাউনিয়া পয়েন্টেও কমতে শুরু করেছে। সন্ধ্যার মধ্যে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: