শিরোনাম

South east bank ad

দুই বছরেও বৃত্তির টাকা পায়নি মেধাবী ৫ শিক্ষার্থী

 প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই বছরেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মেধাবী ৫ শিক্ষার্থীর ভাগ্যে জটেনি বৃত্তির টাকা। ফলে এই ৫ শিক্ষার্থী তাদের বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছে।

আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) শনিবার ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়টির তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার এমপিএসটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্যের পাশাপাশি আখি খাতুন, সুমাইয়া খাতুন, শিরিনা খাতুন, জিপা খাতুন ও কনক চাপা সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। তারা জিএমসি ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এমপিএসটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রাপ্তর কাগজপত্র জিএমসি ডিগ্রি কলেজে জমা দিয়েছে।

সরকারি বিধি মোতাবেক বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকে তারা হিসাব নম্বর খুলেছে। প্রতি মাসে ৩৫০ টাকা হিসেবে দুই বছরে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৮ হাজার ৪০০ টাকা করে পাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্ত আজও তাদের ভাগ্যে বৃত্তির টাকা জুটছে না।

এ বিষয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৫ শিক্ষার্থী ২৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি আবেদন করেছে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী কনক চাপার বাবা আলহাজ¦ ওসমান গনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে জিএমসি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ঘুরেও কোন কাজ হচ্ছে না। অত্র কলেজের অধ্যক্ষের অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলার জিএমসি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল কাসেম মীর বলেন, মেধাবী ৫ শিক্ষার্থী কেন বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না তা সঠিক করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের কাগজপত্র যথাসময়ে শিক্ষাবোর্ডে পাঠানো আছে। এ বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদনের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: