শিরোনাম

South east bank ad

ধান ক্ষেতে ইটভাটা ও পাঁজা! হুমকির মুখে ফসলি জমি: প্রশাসন নিরব

 প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লোকালয়ে ও ধান ক্ষেতে ইটভাটা নির্মাণ করে ইচ্ছে মতো চালিয়ে যাচ্ছে ইটের ব্যবসা।

ইটভাটার অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে পরিবেশ, জীব বৈচিত্র ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পরেছে । স্থানীয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। নিরব ভুমিকা পালন করছে। তারা অবৈধভাবে ইটভাটা বন্ধের কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জানা গেছে- সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লোকালয়ে ও কৃষি জমিতে অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, কৃষি অফিসের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের লাইসেন্স ছাড়া ২১ টি ঝিকঝ্যাঁক ও ড্রাম চিমনি (ব্যারেল) ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে।

স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফিট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি ইটভাটায় স্থাপন করা হয়েছে। জ্বালানী হিসাবে অনেক ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করছে। গাছ কেটে ইটের পাঁজায় নিজস্ব স্ব-মিলে লাকরী তৈরি করে ইট তৈরি কাজে পাঁজায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

গ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় জণস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা করেছে পরিবেশবাদীরা। কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র মারাত্মক হুমকির মুখে পরেছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি।

এদিকে ইটভাটা নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও কৃষি অফিসের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হলেও অধিকাংশ ভাটায় এ সকল ছাড়পত্র নেই। এমনকি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও ফায়ার লাইসেন্স থেকে তারা উদাসীন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে
প্রভাবশালীরা ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন সরেজমিনে গিয়ে এসকল অবৈধ ইটভাটা ও ইট তৈরির পাঁজা মালিকদের তোপের মুখে পরতে হয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের।

অভিযোগ রয়েছে- র‌্যাব ইটভাটার মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ আকন, তার ছোট ভাই সহকারী উপ-সচিব মোঃ আতাহার উদ্দিনের প্রভাব খাটিয়ে সেকান্দারখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রনের বাঁধ সংলগ্ন স্থানে ধান ক্ষেত ও লোকালয়ে ইটভাটায় ইট পোড়াচ্ছেন। এতে ওই এলাকার পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য ও ফসলী জমি ধংস হয়ে যাচ্ছে।

আমতলী উপজেলার আমতলী সদর, হলদিয়া, চাওড়া, কুকুয়া, গুলিশাখালী, আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন ও তালতলী উপজেলার ছোটবগী, কড়ইবাড়িয়া, লাউপাড়া, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ২১ টি ঝিকঝ্যাঁক ও ড্রাম চিমনিতে ইট পোড়ানোর কাজের ধূম বয়ে যাচ্ছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- আমতলী ও তালতলী উপজেলায় তালিকানুযায়ী ১০ টি ইটভাটা রয়েছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম পাঁচটি ইটভাটায় ছাড়পত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন- অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে কৃষি জমি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ হালিম মিয়া বলেন- কৃষি জমিতে ইট ভাটাসহ কোন ধরনের শিল্পকারখানা নির্মাণ করতে পারবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লঙ্ঘণ করে কেউ যদি ইটভাটা নির্মাণ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন- ফসলি জমি নষ্ট করে এসকল ইটভাটা ও পাঁজা ধ্বংস করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি শীঘ্রই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: