South east bank ad

নদী গর্ভে বিলিন হলো চরসিলিমপুর স্কুল

 প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

খন্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী) :

অবশেষে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে পদ্মা পাড়ে অবস্থিত রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সেই চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে চর সেলিমপুর ৭ নং ওয়ার্ড স্কুল সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক ভেঙে বিদ্যালয়টি নদীতে ধসে পড়ে। এ সময় এলাকার শতশত মানুষ তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি নিজের চোখে নদী গর্ভে বিলিন হতে দেখে কাঁদতে থাকে।

বিদ্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলের মানুষের প্রায় শতাধিক সন্তানদের পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসন বলছে- এই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যাতে কোন ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয় সংলগ্ন একাধিক বাসিন্দা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার নদী ভাঙনরোধে এতো টাকা ব্যয় করছে অথচ যারা ঠিকাদার তারা কাজ ভালো করছেনা। ভালো মতো কাজ করলে আজ এই বিদ্যালয়টি ভাঙত না।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে হঠাৎ করে বিদ্যালয় সংলগ্ন পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়। এতে সিসি ব্লকের প্রায় ৪০ -৫০ মিটার সিসি ব্লক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
হঠাৎ করে সিসি ব্লক ভেঙে নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় চরম হুমকিতে পড়েছিল বিদ্যালয়টিসহ মসজিদ ও প্রায় অর্ধশত বসত ভিটা। ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপদ একটি টিনশিডে পাঠদান সম্পন্ন করছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা সলিম শেখ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে আজ আমাদের একমাত্র স্কুলটি রক্ষা হলো না। সেই নদীর পেটেই চলে গেলো স্কুলটি। স্কুল ছাড়াও প্রায় দুই শতাধিক পরিবার এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো সুমন বলেন, আমাদের পড়ালেখার একমাত্র স্কুলটি আজ নদীতে চলে গেলো।আমরা এখন কোথায় পড়বো..??

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলাের পর থেকে বিদ্যালয়ের মূল ভবনেই পাঠদান করাচ্ছিলাম। হঠাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে স্কুলের পাশেই সিসি ব্লক ভেঙে নদীতে চলে যাওয়ার পর থেকে আর ওখানে পাঠদান করাচ্ছিলামনা। কারণ তখন মূল ভবনটি চরম ঝুঁকিতে ছিল। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাশের টিনশিডে ক্লাস নিচ্ছিলাম। কিন্তু আজ স্কুলের ভবনটি নদীতে চলে গেলো।।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, পদ্মা নদীর পানি কমার কারণে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের খবর পেয়ে আমরা ঘটানাস্থল পরিদর্শন করেছি। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: