পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধন নিয়ে অনিশ্চয়তা
কায়সার সামির, (মুন্সীগঞ্জ) :
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ উদ্বোধনের দিন একসাথে চালু হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। এতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা। রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে সড়ক পরিবহন চালুর সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু করার জন্য চেষ্টা চলছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা সেতুতে রেলপথ স্থাপনের অংশ বাংলাদেশ রেলওয়েকে বুঝিয়ে না দিলে এই রেলপথ স্থাপনের কাজ যথা সময়ে শুরু করা যাবে না। রেলপথ যথা সময়ে স্থাপন করতে না পারলে আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজের কারিগরি বিষয় নিয়েই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প এলাকায় কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেল পথের কাজ শুরু অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। আর রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবেনা। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, সেতু কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসাথে শেষ করা যায়। সড়ক চালু হয়ে গেলে রেলপথ নির্মাণ করা আরো কষ্টকর হবে।
এসময় রেলমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব সেলিম রেজা, রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন।
উল্লেখ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল পথের ৪৩.৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে। আর আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে বলেও জানানো হয়।
৩৯ হাজার ২শ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এই পথে ২০ টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪ টি নতুন এবং ৬ টি বিদ্যমান।