শিরোনাম

South east bank ad

বাঁচবো মোরা নিজের অক্সিজেনে

 প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ফয়সাল আহমেদ, (গাজীপুর) :

গাজীপুর সরকারী মহিলা কলেজের গনিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তিতাস। ২৪তম বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে সরকারী চাকুরীরত এই শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা তৈরীতে নিজ কর্মস্থল গাজীপুর ছাড়াও দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

করোনার সময় ঘরবন্দি হয়ে পড়েন তিনি। ভিন্ন ভাবনা আসে তার মনে। এবার শুরু করেন বৃক্ষ রোপনে সচেতনতা তৈরীতে এক অভিযান। উদ্দেশ্য আমাদের প্রকৃতিতে অক্সিজেনের যোগান বাড়ানো। চলতি বছর তিনি একাই গাজীপুর শহরের অলি গলিতে রোপন করেছেন ২০হাজার গাছের চারা। তার এ অভিযানের নাম দিয়েছেন “বাঁচবো মোরা নিজের অক্সিজেনে”। এছাড়াও বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে গাজীপুর শহরকে সবুজে মুড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন রয়েছে এ শিক্ষকের।

ছুটির দিন সহ কাজের ফুরসত পেলেই তিনি প্লেকার্ড নিয়ে দাড়িয়ে যান জনবহুল স্থানে। নামাজের পর তার দেখা মেলে মসজিদের সামনে। সেখানে অনেকের হাতেই তুলে দেন একটি করে বৃক্ষ ও প্রচারপত্র। তার প্লেকার্ডে লেখা থাকে বৃক্ষের নানা উপকারিতা। তিনি সবসময় রাস্তার ধারে, শহরের খালি জায়গায়, কবরস্থানে নদী কিংবা খালের তীরে বৃক্ষ লাগানোর জন্য সাধারণ লোকজনকে উৎসাহিত করেন। তার এ বৃক্ষের মধ্যে নানা ধরনের ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছ রয়েছে। শুধু যে সাধারন মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা করতে কাজ করছেন এমন নয়। তার নিজ শিক্ষার্থীদেরও হাতে কলমে বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যার শিক্ষাটাও দিচ্ছেন। সাথে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বৃক্ষ।

সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তিতাস বলেন, করোনা আমাদের ভিন্ন ধর্মী একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে। অক্সিজেন কত গুরুত্বপূর্ণ তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে অক্সিজেন সংকট তৈরী করছি আমরা। অক্সিজেনের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তাই অন্তত নিজের অক্সিজেনের জোগাড় আমাদের নিজের করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ব্যক্তিকেই অন্তত ১০টি করে বৃক্ষ রোপন করার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই সচেতনতা তৈরীর কাজটি করছি। একটি বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পাওয়া যায়। তাই যেভাবেই হোক বৃক্ষরোপন করতে হবে, অন্তত বেঁচে থাকার তাগিদে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: