শিরোনাম

South east bank ad

বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিসে হামলা-ভাংচুরে আহত-১০

 প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রোমান আহম্মেদ, (শরীয়তপুর) :

শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মজিবুর রহমান খান এর নির্বাচনী অফিস সহ মার্কেট ও বাড়ীতে নৌকার সমর্থকরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্রোহী প্রার্থী। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খান অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত বুধবার রাত অনুমান ৮টায় বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুর রহমান খান ডোমসার বাজারে তাঁর খান সুপার মার্কেটের নির্বাচনী অফিসে আলোচনা সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন। এ সময় আওয়ামীলীগের প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খান এর নেতৃত্বে নৌকার সমর্থক শতাধিক লোকজন মিছিল করতে করতে এসে ডোমসার বাজারের দক্ষিন মাথায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান খান এর নির্বাচনী অফিসে এসে হামলা করে চেয়ার ও টেবিল সহ মার্কেট ও বাড়ীতে ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ২টি মোটর সাইকেলও ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। মূহুর্তের মধ্যে ডোমসার বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন দিকবেদিক ছুটোছুটি করতে থাকে।

খবর পেয়ে পালং মডেল থানার ওসি মোঃ আকতার হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক আজাহার বেপারী, শাহজাহান চৌকিদার, খলিল মৃধা, ছাত্তার মাদবর, আজাহার মাদবর, আমির হোসেন মুন্সী, মনোয়ার হোসেন খান সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খান বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ মিথ্যা। দলীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের ডোমসার বাজারের অফিসে আসার সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুর রহমান খান বলেন, নৌকার প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খান এর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করে এসে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: