শিরোনাম

South east bank ad

ভাড়ানী খাল খননে পুকুর চুরি

 প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা):

বরগুনা বাসির দীর্ঘ কাঙ্খিত ভাড়ানী খাল (খাকদোন ও পায়রা নদীর সংযোগ) খননে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ জালাল জানান- চট্টগ্রাম জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ও পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ খাল খননের প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়।

২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত এই কাজের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে ২৬ থেকে ৩০ মিটার বা ৮৫ থেকে ১০০ ফুট ও নিম্ন স্তরের প্রস্থ ১২ মিটার বা ৩৯.৩৬ ফুট গভীরতা ১.৫ মিটার হতে ২ মিটার পর্যন্ত বা ৫ ফুট থেকে ৬.৫০ ফুট ।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- খালের এই পরিমাপ অধিকাংশ স্থানেই ঠিক নেই। ঠিকাদাররা ইচ্ছামাফিক খাল খনন করছে। খননের সাথে সাথেই খালে পানি ডুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে করে কেউ খালের সঠিক গভীরতা ও নিন্মতলের প্রশস্ততা বুঝতে না পারে।

খালের মাটি কেটে কোন রকমের পাশে উঠিয়ে রাখা হয়েছে অধিকাংশ স্থানই খনন করার সাথে সাথেই ধসে পড়তেছে। খালের উপর অনেকগুলো অপরিকল্পিত সেতু থাকার কারণে অনেক অংশই সঠিকভাবে খনন করা যাচ্ছে না।

কাজের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ জালাল এর নজরে আনলে তিনি বলেন- আমরা তো দেখেছি, মাপ ঠিক আছে। খালের নিচে ৪০ ফুট থাকার কথা থাকলেও ৩০ ফুটের বেশি নেই কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন কিছু কম থাকতে পারে তবে এতে কম নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কাইছার আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকল স্থানের প্রস্থ ১২ মিটার নেই। শ্মশান ঘাট সহ কিছু স্থানে কম আছে। শ্মশান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটার ব্যাপারে ছাড় দিলেন ধর্মীয় কারণে অন্য স্থানে কম কেন আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা এর বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুশফিক আরিফ বলেন- আমারা সংগঠনের মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর যাবত আন্দোলন করে খাল উদ্ধার ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি‌। এখন বরগুনার মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। এই খাল খননে কোনরূপ অনিয়ম হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে পুনরায় আন্দোলনে নমবো।

কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা এর উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহ জালাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোনো যোগাযোগ ঠিকানা/ফোন নাম্বার দিতে পারেননি বিধায় মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে লাইসেন্সের অনুকূলে কাজ নিয়ে খাল খনন করছেন বরগুনার ঠিকাদার আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ূন কবির। তার কাজের তদারকিতে থাকা বাদশা জানান- কাজ সঠিকভাবে হয়েছে। আমরা কম কাটলে কম বিল পাবো। এতে আমাদের ক্ষতি।

উল্লেখ্য- ভড়ানী খাল দখলমুক্ত করতে গিয়ে শ'খানেক ব্যবসায়ীকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়তে হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এছাড়াও গৃহহীন হয়েছে শতাধিক পরিবার। এতে ব্যাবসায়ি ও গৃহহীন হয়ে পড়া পরিবারকে কোন ধরণের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: