শিরোনাম

South east bank ad

ভারতগামী যাত্রী নেই তাই বন্ধ ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’

 প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ জামাল হোসেন, (বেনাপোল) :

করোনার অজুহাতে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্ত:নগর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এতে এ ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগে পড়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ জারি হলে সারা দেশের অন্য ট্রেনগুলোর মতো ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর সারা দেশের সব ট্রেন চালু হলেও এই ট্রেন বন্ধ থেকে যায়। বলা হচ্ছে ভারতীয় হাইকমিশন পর্যটক ভিসা চালু করলে ট্রেনটি ছাড়া হবে। এখন চালু করলে যাত্রীর অভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হবে। বর্তমানে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা খুবই কম।

ভারত সীমান্ত খুলে দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারও পাসপোর্টধারী যাত্রী প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করে থাকে। তাদের বেশির ভাগই ঢাকা থেকে আসেন। ঢাকা থেকে বেনাপোলে আসার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বর্তমানে বাস। ফেরি চলাচলে বিভিন্ন অসুবিধা হলে এই বাস নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা কিংবা বেনাপোলে পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্দশা হয়। এসব কারণে বেনাপোলবাসী আবার ঢাকা-বেনাপোল রেল সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে।

২০১৯ সালের ১৭ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল-ঢাকা রুটে আন্ত:নগর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে দুভোর্গ থেকে রেহাই পান অনেক যাত্রী। ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কাজে নিয়োজিত ব্যবসায়ীদেরও যাতায়াত সহজতর হয়। পাশাপাশি পাসপোর্টযাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্টযাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকে। যাত্রীদের সিংহভাগ আসে ঢাকা থেকে। সড়ক পথের বেহাল দশা ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যাত্রীদের নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। বেনাপোল-ঢাকা ট্রেনটি চালু হওয়ার পর যাত্রীরা নির্বিঘ্নে সাড়ে সাত ঘণ্টায় ঢাকা যেতে পারছিলেন। পরিবহনে যেখানে ১২/১৪ ঘণ্টা সময় লাগে। সপ্তাহে এক দিন বিরতি দিয়ে প্রতিদিন সকাল ও রাতে এ লাইনে দুটি ট্রেন চলাচল করত। করোনা দেখা দিলে স্বাস্থবিধি মেনে কয়েকদিন চললেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যসব জায়গায় আন্ত:নগর ট্রেন চালু হলেও সেই থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে বেনাপোল-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল।

বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোলের স্থানীয় মানুষ ও ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্টযাত্রীদের সুবিধার্থে বেনাপোল-ঢাকা রুটে ‘বেনপোল এক্সপ্রেস’ সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। করোনায় বন্ধ থাকার পর সব কিছু চালু হলেও এটি চালু না হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীসহ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ট্রেনটি চালু হলে বেনাপোল-ঢাকার মধ্যে হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়বে। তিনি দ্রুত এই ট্রেনটি চালুর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে জোর দাবি জানান।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান জানান, করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ এখনো চালু হয়নি। কী কারণে চালু হচ্ছে না সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা কবে আবার চালু করা হবে তা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ আন্ত:নগর ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত বগি মেরামতে সৈয়দপুরের লোকোশেডে রয়েছে। খুব শিগগির এই ট্রেন চালু করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: