শিরোনাম

South east bank ad

রাজবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

 প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ী উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও বীরত্বগাথা, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান" সম্পর্কে আলোচনা সভা এবং রাজবাড়ী পৌরসভার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ (০৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রজনীগন্ধা পৌর মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় রাজবাড়ী পৌরসভায় বসবাসরত ৬৪জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া সময় সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গিয়ে ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর শেখ তিতু'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার ডাঃ কামরুল হাসান লালী,বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার মহাসিন উদ্দিন বতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকলীন কমান্ডার সিরাজ আহম্মেদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার মোঃ বাকাউল আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার মোঃ আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা কমান্ডার মোঃ আব্দুল জলিল,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তালেব সাবেক উপজেলা কমান্ডার, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর কুদরত আলী,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি হেদায়েত আলী সোরহাব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ মইনদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার বলেন, রাজবাড়ী জেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন কাছের বড়ভাই বন্ধু অনেকই এখন আর নেই । শুধু স্মৃতি রয়েছে। এর মধ্যে কোভিড ১৯ এর সময় মারা যায় রাজবাড়ী জেলাতে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা এর মধ্যে ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধার মৃত দেহ দেখার সুযোগ হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার মহাসিন উদ্দিন বতু স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, এই তো সেইদিন মনে হলো মুক্তিযোদ্ধা করলাম। এখন সব স্মূতি চোখে ভাসে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা সারা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহন করি। আমাদের একেক জনের মুক্তিযুদ্ধের এতো এতো স্মৃতি যে বলতে শুরু করলে প্রত্যেক জনের নামে এক টা বই লেখা হয়ে যাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার ডাঃ কামরুল হাসান লালী, পৌর মেয়র কে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য পৌর কবর স্থানে একটা জায়গা বরাদ্দের জন্য দাবী করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষিত করে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য ।

এই প্রজন্ম ও ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে চিনতে পারনে এই কবর গুলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের হয়ে আরও দাবি করেন শহরের বড়পুর মোর এ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচত্তর তৈরির জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের পানির বিল মৌকুফ করার জন্য।

পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর শেখ তিতু সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এ অংশ গ্রহন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি সকল মুক্তিযোদ্ধার আবেদন এর ব্যপারে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পৌর সমসয় তিতু নিজেও গান পরিবেশন করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: