শিরোনাম

South east bank ad

রেল দূর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবে গত ১ বছরে ৭৫ জনের মৃত্যু, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে রেলওয়ে পুলিশ

 প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ আকিব হোসেন খান, (কিশোরগঞ্জ ):

কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গেটে পথচারী ও স্থানীয় লোকজন অসচেতনভাবে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটাহাঁটি করে। ফলে তাদের অনেকেই ট্রেন দুঘর্টনার শিকার হন।

এছাড়া চলন্ত অবস্থায় ট্রেনে উঠানামা, ছাদে ভ্রমণ, দুই বগীর সংযোগ স্থলে বসা, ট্রেনের দরজার হাতলে ঝুলে যাতায়াত, অবৈধ রেলক্রসিং ও অসর্তকভাবে লাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবে গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী-শিশুসহ ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু, ১০ নারী ও ৫৩ পুরুষ, ৫ জন অজ্ঞাত রয়েছেন।

সূত্র জানায়, চলন্ত অবস্থায় ট্রেনে উঠানামা, ছাদে ভ্রমণ, দুই বগীর সংযোগ স্থলে বসা, ট্রেনের দরজার হাতলে ঝুলে যাতায়াত, রেল লাইনের পাশ দিয়ে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটা, অবৈধ রেলক্রসিং ও অসর্তকভাবে লাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ও বাজিতপুরের সরারচর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রেলপথের বিভিন্ন স্থানে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ দ্বীন ইসলাম হানিফ জানান, অসাবধানতার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পথচারীদের সচেতন করতে রেলওয়ে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে না। মূলত সচেতনতার অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন তিনি।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ এস এম তাজবির বলেন, রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গেটে লোকজন অসচেতনভাবে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে হাঁটাহাঁটি করে। ফলে তাদের অনেকেই ট্রেন দুঘর্টনার শিকার হন।

এসব বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী প্রতি মাসেই ২-৩টি সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি ভালো হলেই রেল স্টেশন, রেলগেট সংলগ্ন এলাকার মসজিদ, স্কুলে সচেতনামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।

ভৈরব রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. নুর নবী বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবছরই বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। মূলত যাত্রীদের সচেতনতার অভাবেই দুর্ঘটনা বাড়ছে। স্টেশনের প্লার্টফমে আগত যাত্রীদের মাইকিং করে নিয়মিত সচেতন করা হয় বলে জানান তিনি।

দূর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে কথা হয় ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস এর সাথে। তিনি জানান, ট্রেন যাত্রী ও সাধারণ মানুষের অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার শিকার মানুষজনের মধ্যে বেশিরভাগই অজ্ঞাতনামা। তবে পরর্বতী সময়ে কিছু লাশের পরিচয় পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার সাব ইনস্পেক্টর ছোটন শর্মা বলেন দুর্ঘটনা রোধে বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত স্টেশনে আগত যাত্রীদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালে মোট ২১ জন, ২০২০ সালে ১১ জন, ২০২১ সালে মোট মৃত্যু লক্ষনীয়ভাবে কমে ৫ জন এ চলে এসেছে।

আশা করছি আগামীতে মৃত্যু সংখ্যা শূন্যের কোটায় চলে আসবে। তিনি আরো জানান, ঢাকা জেলার আওতাধীন বোকাইনগর থেকে সরারচর পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার।

অফিসার ইনচার্জ কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা মুহাঃ এমদাদুল হক বলেন কমিউনিটি এবং বিট পুলিশিং এর সহযোগিতায় এবং ঢাকা রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন এর দিক নির্দেশনায় ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অবৈধভাবে ইঞ্জিনে ও রেল দূর্ঘটনা রোধে সকল অফিসারদের বিট পুলিশিং কার্যক্রম এর ফলস্বরূপ দিন দিন এসব দূর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য কমে এসেছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: