শিরোনাম

South east bank ad

শরীয়তপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশত আহত

 প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

নোমান আহমেদ, (শরীয়তপুর):

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় চিতলিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে চিতলিয়া ইউনিয়নের গাজার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও চিতলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চিতলিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মাস্টার হারুন অর রশিদ হাওলাদারের বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় তাদেও সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সমর্থকদের মারধর করেন সালাম হাওলাদারের সমর্থকরা। এ নিয়ে বুধবার সকালে দুই পক্ষর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- চিতলিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌকিদার (৪৮), ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ মাদবর (৪০), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৭), সহ-সভাপতি মকবুল হাওলাদার (৫০), সদস্য হাসেম মাদবর (৪৫), আনোয়ার হাওলাদার (৪০), যুবলীগ নেতা মোশাররফ হাওলাদার (৪৫), আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হাওলাদার (৪৮) প্রমূখ।

এ ব্যাপারে আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, হারুন হাওলাদারের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে আমার ২০ জন সমর্থককে আহত করেছে। গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, সালাম হাওলাদারের সমর্থক লিটন সরদার, আউয়াল সরদার, সৈয়দ সরদার গতকাল রাতে গাজার বাজারে এসে আমার সমর্থক রফিক মৃধাকে মারধর করেছে। আজ সকাল থেকে সালাম হাওলাদারের সমর্থকেরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের হামলায় আমার প্রায় ৩০ জন সমর্থক আহত হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পালং থানার ওসি আকতার হোসেন বলেন, চিতলিয়া এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: