শাজাহানপুরে ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ ইউপি সদস্য প্রার্থী!
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস বাস্তবে জীবিত হলেও ভোটার তালিকায় ‘মৃত’।
আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচনের জন্য তিনি সব প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করেছেন।
আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস উপজেলা আড়িয়া ইউনিয়নে ২নং ওর্য়াডের মানিকদিপা বিন্নাচাপড় গ্রামের আব্দুল গফুর ছেলে। তিনি ওই ওর্য়াডের সাবেক মেম্বার (ইউপি সদস্য) ছিলেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাপী নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত নির্বাচনে একই গ্রামের আব্দুর রহমান সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস। সেই নির্বাচনে আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস মাত্র ১৪৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এবার পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আগে থেকেই মাঠে আছেন সাবেক এই ইউপি সদস্য।
ভোটার তালিকায় মৃত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব ফেরদৌসের ছেলে রাসেল আহমেদ বলেন, আমার বাবার নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কোভিড-১৯ টিকা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ভোটার তালিকায় নম্বরের খোঁজ করতে গিয়ে নামই নেই। যার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর-১০১৮৫১৭৭৬৭৩২৭। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।
আব্দুল মোতালেব ফেরদৌস বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিস জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়েছে। আমি নাকি মৃত। এটাও সম্ভব! তারপরও আমি নির্বাচন অফিস সংশোধন জন্য অবেদন করেছি।
গত বছর সামান্য ভোটের কারণে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছি। এবারও নির্বাচনের জন্য আগে থেকেই মাঠ পর্যায়ে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে মৃত বানিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে প্রতিপক্ষ এমন কাজ করতে পারে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন বলেন, এমন হওয়ার তো কথা নয়। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।