শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিরে পেল প্রাণ
কায়সার সামির, (মুন্সীগঞ্জ) :
বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে প্রায় দেড় বছর ঘরবন্দি সময় পার করে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে স্কুল-কলেজ। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। স্কুল-কলেজ কিংবা রাস্তাঘাট পরিপূর্ণতা পেয়েছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার মুন্সীগঞ্জের ১২৬টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়েছে স্কুল-কলেজ ও আশপাশ এলাকা। এছাড়া জেলায় ৭টি স্কুল এন্ড কলেজ এবং ১৮টি কলেজও খুলে দেওয়া হয়।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজে সাদা-কালো রংয়ে শিক্ষার্থীদের পুকুরপাড় ও জামতলায় একে অপরকে আলিঙ্গন করতে দেখা গেছে। অনেকেই জামতলা চত্বরেই মনের আনন্দে বন্ধুদের নিয়ে গান গাইছে। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধবিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ বা আবার একই ফ্রেমে সেলফিতে বন্ধী করে রাখছে স্মরণীয় দিনটিকে। অপর দিকে শিক্ষকদের মাঝে আনন্দ-উল্লাস দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস ঘরবন্দি কাটিয়ে রোববার সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে। আজকের এই দিনটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন সরকারি হরগঞ্জ কলেজ এর শিক্ষকরা।
তারা বলেন, মাথা ছাড়া যেমন শরীর এর দাম নেই, তেমনি শিক্ষার্থী ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন মূল্য নেই। শিক্ষার্থীর হচ্ছে একটি বিদ্যাপিট এর প্রাণ। তাদের পদচারণায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূনরায় ফিরে পেয়েছে নতুন জীবন।
কথা হয় প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর দশম শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী মো. হৃদয় এর সাথে। সে বলেন, আজকের দিনটি ঈদের মতো আনন্দের। প্রায় দেড় বছর পর স্কুলে ক্লাস করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। অনেক দিন পর বন্ধু, স্যার ও মেমদের সাথেও দেখা হয়েছে। মোট কথায় খুব ভালো লাগছে।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজ এর একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী সায়মা বলেন, মনে হচ্ছে জেলখানা থেকে ছাড়া পেলাম। ঘরবন্দি জীবন কষ্টের ছিল। আজ আবারও কলেজের চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছি। দেখা হয়েছে বান্ধবি-বন্ধু ও শিক্ষকদের সাথে।
জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনুস ফারুকি বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে রোববার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোজ নিয়ে দেখিছি। প্রত্যেটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তিনি আরো বলেন, এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য আনন্দের।