South east bank ad

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিচারের দাবি

 প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আব্দুস সবুর লোটাস, (রাবি) :

বাংলাদেশের ইতিহাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐক্যের ইতিহাস। তবে পাকিস্তান আমলের সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছাড়ানোর ধারাবাহিকতা এখনো কিছুটা রয়ে গেছে। এবার দুর্গোৎসবের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর যেভাবে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। উৎসবের মধ্যে সেই ধর্মালম্বী মানুষদের মুখ ম্লান দেখলে নিজেদের লজ্জা লাগে। যারা এসবের সাথে জড়িত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিচারের দাবি করছি।

দুর্গোৎসবের সময় প্রতিমা ভাঙচুর ও পুজা বন্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তমাল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে আমরা সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের ইতিহাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐক্যের ইতিহাস। সেই সম্প্রীতি ও ঐক্যকে যারা নষ্ট করেতে চায় আমরা তাদের হুশিয়ার করছি। আপনারা সাবধান হয়ে যান। আমরা চাই সকলে হাতে হাত রেখে এক সঙ্গে দেশের উন্নয়নের পথে চলবো।

একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান সকল নাগরিককে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষের জন্য তাদের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান পালনের সমান অধিকার দিয়েছে। কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কাউকে বাঁধা প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়নি। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আমরা এদেশের নাগরিক, সে যেই ধর্মের মানুষ হই না কেন। আমরা সবাই বাঙালি। দেশের মধ্যে যারাই সাম্প্রদায়িক সম্পীতিকে বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছি।

ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকলাইন গৌরব বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্পীতি গড়তে পারিনি। পাকিস্তান আমলের সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছাড়ানোর ধারাবাহিকতা এখনো রয়ে গেছে। আমাদের ভিন্ন ধর্মালম্বী বন্ধুদের উৎসবের দিনে তাদের মুখ ম্লান দেখতে হয়। তাদের চোখের দিকে আমরা তাকাতে পারি না। তাদের উৎসব ম্লান হওয়া দেখে লজ্জিত হই। আমরা কি এতটাই সংখ্যাগুরু হতে চাই, যে সংখ্যালঘুরা আমাদের দেখে ভয় পাক? আমরা চাই এদেশের প্রতিটি নাগরিক নিজস্ব ধর্ম ও আচার পালনের সর্বোচ্চ অধিকার নিয়ে করে বঁেচ থাকুক। আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই দেশের বেশির ভাগ মানুষ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে।

ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল মোহাম্মদ তূর্জের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: