শিরোনাম

South east bank ad

সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ

 প্রকাশ: ০২ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

কোনো জায়গায় সেতু আছে তো সংযোগ সড়ক নেই, আবার কোথাও সংযোগ সড়ক থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতু। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় এমন দৃশ্য নতুন কিছু নয়।

প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ নিয়ে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। তেমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নে। সেখানে শয়তানখালী খালের ওপর নির্মিত তিনটি সেতুই এখন বেহাল। ফলে তিন ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কামলাবাজার গ্রামের সেতুর বেশির ভাগ স্থানের রেলিং নেই। সেতুটির মধ্যবর্তী কিছু অংশ ভেঙে গেছে। খুঁটিতে ফাটল ধরেছে। ভাঙা স্থানে বেশ কয়েকটি ব্লক দেওয়া হয়েছে। নতুনপাড়া গ্রামের সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে।

আর মধ্যবাজারের সেতুটির পূর্ব পাশে পাটাতন দেবে গেছে। খুঁটির গোড়ায় ফাটল ধরেছে। তিনটি সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। এলজিইডি এ-সংক্রান্ত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। মধ্যবাজার সেতুতে ওঠার মুখে লাল পতাকা ও বাঁশ ফেলে রাখা হয়েছে; কিন্তু লোকজন তারপরও সেতু দিয়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছে।

সেতুগুলোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ঠেলাগাড়িসহ ছয় শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। এলজিইডির পক্ষ থেকে মাসখানেক আগে সেতু তিনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার লোকজন বাধ্য হয়ে এসব সেতু দিয়ে চলাচল করছে। কামলাবাজ গ্রামের সেতুটির এক পাশে বিকল্প মাটির সড়ক নির্মাণকাজ করছে এলজিইডি। এটি না করা হলে তাদের দেড় কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হবে।

মধ্যবাজারের সেতুটি উড়ালসড়কের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং কামলাবাজার গ্রামের সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে, এমনটা বলছেন উপজেলা প্রকৌশলী। তাঁর কথায় আমরা আশাবাদী হতে চাই। তবে প্রকল্পের নামে কোনোভাবেই যাতে সময়ক্ষেপণ না হয়।

এ ছাড়া নতুনপাড়া গ্রামের সেতুটি নিয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমরা চাই না সেতুগুলো ভেঙে পড়ে বড় কোনো দুর্ঘটনার মুখে পড়ুক সেখানকার মানুষ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: