শিরোনাম

South east bank ad

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আ‘লীগ নেতা গ্রেপ্তার

 প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সুষান্ত কুমার সরকার, (পাবনা):

পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২)সহ তিনজনকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
পাবনা জেলা ও দায়রা জজের কৌসুলি এডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন-ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের মৃত হাচেন খাঁর ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২), বিজয়রামপুর গ্রামের মহির বিশ্বাসের ছেলে নাদের বিশ্বাস( ৫৩), নলদহ গ্রামের জেলেমুদ্দিনের ছেলের সমো (৩১)।

আদালত এই এসময় ২ জনকে জামিন দিয়েছেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন-ভাঁড়ারা ইউপির দিঘলকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলম( ৩৩), চকভাড়ারা গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে শামসুল হোসেন (৪০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম হত্যা মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ ৩৪ জন আসামী তাদের মধ্যে ৫ আসামী জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এ সময় বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজহার সূত্রে জানা পগছে, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চতুর্থধাপের গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে পভাটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার কারনে ভাঁড়ারা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয় এবং অবশিষ্ট ৯ টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

ইউপি ভোটকে সামনে রেখে গত ১১ ডিসেম্বর সকালে কোলাদি গ্রামের চারাবটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ( ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক ভোটের প্রচারণায় বের হন।

এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ।

এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় ইয়াসিন আলম মারা যান।

এ ঘটনায় পরেরদিন ১২ ডিসেম্বর রাতে নিহত ইয়াসিন আলমের পিতা মোজাম্মেল হক বাদি হয়ে ৩৪ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিন নির্বাচন কমিশন থেকে ইউপির সকল পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: