শিরোনাম

South east bank ad

১৫০ টাকা পুঁজিতে মাশারুম চাষে কোটিপতি

 প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

কায়সার সামির, (মুন্সীগঞ্জ) :

মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন মাত্র ১৫০ টাকা পুঁজি নিয়ে। বর্তমানে মাশরুম চাষ করে কোটিপতি হয়েছেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের মান্দ্রা গ্রামের রাসেল আহাম্মেদ। তার কাছ থেকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন আরো শতাধিক তরুণ চাষি। রাসেল প্রতিদন ৫ থেকে ৮ কেজি মাশরুম উৎপাদন করে, যা বিক্রি করে তার মাসিক আয় হয় প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। তবে এই সাফল্য এমনিতে আসেনি। কঠিন পরিশ্রম ও সঠিক সিদ্ধান্ত রাসেলকে আজকে কোটিপতি বানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রাসেল বলেন, সাভার সোবাহানবাগের জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৬ সালে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমে ১৫০ টাকা পুঁজি নিয়ে কয়েকটি বীজ (স্পন) ক্রয় করে ছোট পরিসরে মাশরুম চাষ শুরু করি। লাভজনক হওয়ায় আস্তে আস্তে ব্যবসার পরিসীমা বাড়িয়েছি। প্রথমে ২০টি বীজ দিয়ে চাষ শুরু করলে বর্তমানে আমার এখানে ৫ হাজার বীজ রয়েছে।

তিনি বলেন, মাশরুম সারাবছর চাষ করা যায়। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের এটি চাষ করতে হয়। এখানে ৬ ধরনের মাশরুম চাষ হয়। এগুলো হলো ঝিনুক, ঋষি, মিল্কি, বাটন, ইনকি ও পপ। শীতের সময় ঝিনুক ও বাটন ভালো উৎপাদন হয়। এসব মাশরুম জেলা উপজেলার চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও হোটেলসহ নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন ফাইভ স্টার হোটেলে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা খামার থেকে তা ক্রয় করে। বর্তমানে আমার খামারের জমির মূল্য সহ প্রায় কোটি টাকার উপরে বিনিয়োগ রয়েছে।

রাসেল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এখানে কোনো ধরনের ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন। সহজ শর্তে তা পেলে আরো ব্যাপকভাবে মাশরুম চাষ করা সম্ভব হতো।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মতে মাশরুম পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি ব্যপক জনপ্রিয় খাবার। এটি দেশের বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যপক চাহিদা রয়েছে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এবং মানুষের পুষ্টি দূর করতে সরকার আশির দশকে জাপানের সহায়তায় দেশে মাশরুম চাষ শুরু করে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দেশে বাড়তে থাকে এর চাষ। বিশেষ করে সাভারে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট হওয়ার পর থেকে সেখানে যুবক-যুবতীরা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে এ সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: