অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চায় এফবিসিসিআই
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)-পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এলডিসি-উত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে সংগঠনটি। একই সঙ্গে এ চুক্তি চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতেও সাহায্য করবে।
গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার চায়না-বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড কো-অপারেশন ফোরাম ২০২১ এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সপ্তম কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
এছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. শেখ ইউসুফ হারুন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, সিইএবির সভাপতি কে চ্যাংলিয়াং, সংগঠনটির অনারারি লাইফ প্রেসিডেন্ট লিন ওয়েইকিয়াংসহ অন্যান্য প্রতিনিধি।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি ডলার, বিপরীতে দেশটিতে রফতানি হয়েছে মাত্র দশমিক ৬০০ কোটি ডলারের পণ্য। এই বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ঢাকা-বেইজিং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রয়োজন।
২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০২ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগের তথ্য জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এফটিএ হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা উদ্যোক্তাদের আস্থা আরো বাড়বে। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে সরকারের দেয়া কর অবকাশ সুবিধা, ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত হারে আয়কর, করমুক্ত রফতানি আয়, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানিতে হ্রাসকৃত আমদানি শুল্কের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় দেশে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান জসিম উদ্দিন।