শিরোনাম

South east bank ad

জাতীয় পার্টি মহাসচিব বাবলু আর নেই

 প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন।

তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, শনিবার বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাবুল। এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু করোনায় আক্রান্ত হলে ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা আবুল কাশেম ছিলেন পল্লী চিকিৎসক।

সত্তরের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতাপশালী ছাত্রনেতা ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। পরে তিনি ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হন। এরশাদ সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ছাড়াও পরবর্তী সময়ে এই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পর্যটনমন্ত্রীও ছিলেন।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জীবিত থাকাকালে ২০১৪ সালে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাবলুকে। সে দায়িত্বে তিনি ছিলেন ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে নিয়ে দলে অস্থিরতা দেখা দিলে তাকে হটিয়ে বাবলুকে আবার মহাসচিবের দায়িত্বে নিয়ে আসেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে (চট্টগ্রাম-৯) আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন বাবলু। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নির্দেশে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর প্রথম স্ত্রী ফরিদা সরকার। তিনি ২০০৫ সালে মারা যান। পরে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি এরশাদের ভাগ্নি মেহেজেবুন্নেসা টুম্পাকে বিয়ে করেন।

রাজনীতির পাশাপাশি বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: