South east bank ad

পানির চাপে তিস্তা ফ্লাড বাইপাস ভেঙে ভয়াবহ বন্যা

 প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

স্টাফ রির্পোটার :

উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজ ফ্লাড বাইপাস ভেঙে নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার একর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫৩ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার, যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ৭০ সেন্টিমিটার উপরে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার সকালে পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পানির চাপে হাতীবান্ধার বড়খাতা হতে গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় হয়ে হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড় বাইপাস পাকা সড়কটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যায়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের পাশে ফ্লাড বাইপাস পানির চাপে ভেঙে যায়। এতে নীলফামারী জেলার সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই বাইপাসটি ভেঙে যাওয়ায় পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে যাচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। তিস্তার পানিতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার একর পাকা ধানক্ষেতসহ আলু, ভুট্টাক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।

উপজেলার গড্ডিমারী এলাকার ইব্রাহিম হক ও সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবার বন্যার আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বন্যার আগাম পূর্বাভাস জানানো হলেও এবার তা জানানো হয়নি। ফলে বন্যার পানিতে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউ দৌলা বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যারজের ফ্লাড বাইপাসটি পানির চাপে ভেঙে গেছে। তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে। আরও কী পরিমাণ পানি আসতে পারে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান, হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ফ্লাড বাইপাস ভেঙে গেছে। পানিবন্দি পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা আছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: