শিরোনাম

South east bank ad

শরীয়তপুরে নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ৫২ জেলেকে কারাদণ্ড

 প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত

শরীয়তপুরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ৫২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ জনকে ১ মাস ও ৪ জনকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া, নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাফিস। পরে পুলিশ তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে, ৫ ও ৮ অক্টোবর জাজিরা উপজেলায় আরও ৩১ জেলেকে একই অপরাধে ১ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নিয়ে ৬ দিনে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাব নদীতে ৭৪টি যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মামলা হয়েছে ১১৬টি। ৬ লাখ ৬৫ হাজার মিটার মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়। এছাড়াও ৪টি বোট ও ১টি ট্রলার আটক করা হয়।


ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসিফ বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ভেদরগঞ্জ অঞ্চলে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র বেশি। এ কারণে ভেদরগঞ্জ নদ-নদীর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কালীন কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান শুরু করেছে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাদের জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।’

জাজিরা উপজেরা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭১ কিলোমিটার নদীপথ। দীর্ঘ এ নদীতে আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলেরা মা ইলিশ শিকার করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জেলেদের আটক করে জাল ও নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে।’

BBS cable ad

আইন আদালত এর আরও খবর: