শিরোনাম

South east bank ad

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

 প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার এবং এটি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ডিজিটাল সংযোগ ও মানসম্মত কনটেন্ট অপরিহার্য।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), এটুআই এবং বাংলাদেশ আ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোরডেবল ইন্টারনেটের (এফোরএআই) উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন ডিজিটাল কনটেন্ট মানে শুধু পাঠ্যসূচির পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা নয়, কনটেন্ট অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। প্রচলিত শিক্ষা শ্রেণিকক্ষ থেকে ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন করা আবশ্যক। ডিজিটাল সংযোগের মহাসড়ক তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তৃণমূল থেকে শুরু করে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাও ফলপ্রসূ হবে না। ডিজিটাল শিক্ষার জন্য শিক্ষকদেরও ডিজিটাল উপযোগী দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিজিটাল শিক্ষা প্রদানের উপযোগী করতে না পারলে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনসহ গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ডের মূল কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রেখে গ্রাহক পর্যায়ের কার্যক্রম বেসরকারি খাতে প্রদান করা যেতে পারে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থী যাতে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় সেজন্য ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সংমিশ্রণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ এর আলোকে পরবর্তীতে ১০ বছরে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি আমাদের দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী এবং ১০ লাখ শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা মাথায় রেখে আমাদের ২০২৫, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের পরিকল্পনা সাজাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার তিনি বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইভ জি সম্প্রসারণ শুরু হবে। আমাদের সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে নারী ও প্রতিবন্ধীসহ সবার জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্রডব্যান্ড নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা জরুরি।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: