South east bank ad

শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

 প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল


মোঃ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। কুমিল্লা-৯ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৫৫ সালে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার পোমগাঁও গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ্ব জুলফিকার আলী এবং মাতা আনোয়ারা বেগমের গর্বিত সন্তান তিনি।

২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারী তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়ে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মোঃ তাজুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর শেখ হাসিনার উন্নয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। সততা, আদর্শিক রাজনীতি, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও মানুষের ভালোবাসায় তিনি আজ সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন।

জুলফিকার আলী ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছাত্রজীবন শুরু হয় গ্রামের পোমগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ এবং অনার্স-মাস্টার্স চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) থেকে। শিক্ষার বিস্তারে তার অবদান অনেক। তিনি নিজ এলাকায় অসংখ্য স্কুল কলেজ তৈরি করেছেন। তার বাবার নামে একটি কারিগরি স্কুল তৈরি করেছেন। তিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
লন্ডনের এস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্স-এ ডিপ্লোমা এবং সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন।

কর্মজীবনে সফলতার সাথে বহু শিল্প-কারখানা ও ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠা করেন। সত্য, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ শ্রেষ্ঠ জাতি গঠনের লক্ষ্যে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করেন। মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা, দারিদ্রতা দূর ও ন্যায়ভিত্তিক একটি দেশ গঠনের অবদান রাখার লক্ষ্যে ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সহিত প্রত্যক্ষ জড়িত ছিলেন। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত এই মানুষটিকে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের জনগণ ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দান করেন। বিগত সংসদ মেয়াদগুলিতে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সময় জাতিসংঘ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও জাইকা’র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও তিনি সরকারী ও বেসরকারী প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, জাপান ও চীনসহ পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেন।

বিবাহিত জীবনে তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। ছেলেরা শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশের মাটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। নিজেদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেয়েদের মধ্যে একজন ব্যারিস্টার আর অন্যজন উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় পড়াশুনা করছেন। নিজের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সাফল্যের সাথে নিজেকে দাঁড় করান এক নতুন দিগন্তে। ফেবিয়ান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ সহ বর্তমানে ২০ টি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী তিনি। যমুনা ব্যাংকসহ ২টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা করছেন তিনি। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকাটি তার মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।

জীবনে সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। সফলতার জন্য প্রতিভার পাশাপাশি প্রয়োজন ধৈর্য, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি সে সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম। শিল্পপতি তাজুল ইসলাম নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমেই রাজনীতিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: