শিরোনাম

South east bank ad

শ ম রেজাউল করিম; আইনজীবী, বাগ্মী ও রাজনীতিক হিসেবে যার খ্যাতি দুনিয়াজোড়া

 প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। যাকে সফল আইনজীবী, বাগ্মী, জননেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমন নানা অভিধায় ধরা যায়। কিন্তু এ সবের অন্তরালে ব্যক্তি মানুষটির জীবন ও কর্মে ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। বিশেষ করে টেলিভিশন টকশোর সাহসী বক্তা হিসেবে তার খ্যাতি দুনিয়াজোড়া।

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলাধীন মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে ১৯৬২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন শ ম রেজাউল করিম। তার পিতা মরহুম মোঃ আব্দুল খালেক শেখ ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। তার মাতা মিসেস মাজেদা বেগম একজন সমাজ সচেতন ও ধর্মপরায়ণ গৃহিনী।

তিনি ১৯৭৭ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি, একই বোর্ডের অধীনে ১৯৭৯ সালে মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি, ১৯৮১ সালে খুলনার দৌলতপুর কলেজ থেকে ডিগ্রী এবং ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএল.বি ও এম.এস.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।

পেশাগত জীবনে শ ম রেজাউল করিম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ তেত্রিশ বছর আইন পেশায় সম্পৃক্ত থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেন। ১/১১ সরকার আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হলে তাঁর অন্যতম আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তার সপক্ষে ‍বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন। তাঁকে আইনি সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎ পেতে অনুমতির সর্বপ্রথম লিখিত আবেদন করেন তৎকালীন সরকারের কাছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনজীবী হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আইনজীবীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা হিসাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে বারবার সদস্য নির্বাচিত হন।

স্কুল জীবন থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮০ সালে দৌলতপুর কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) এবং সরকারি কৃষি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময়ে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন বিনা বিচারে কারাবরণ করেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হন বারবার। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৮৯ সালে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮ সাল থেকে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। পরিচিত ও বন্ধুমহলে তিনি প্রাণবন্ত, উচ্ছল তারুণ্যের প্রতীক। রাজনীতিতে একজন মহৎ হৃদয়ের সফল মানুষ হিসেবে সুপরিচিত মুখ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে আজ একজন সফল মন্ত্রী হিসেবে দেশ বাসীর ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: